নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলছে। ছুটির মধ্যেও সীমিত পরিসরে লেনদেন চলছে ব্যাংকগুলোয়। ব্যাংকের খোলা থাকা প্রায় প্রতিটি শাখায়ই গ্রাহকদের ভিড় বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ছুটির মধ্যেই ব্যাংক লেনদেন ও কার্যক্রমের পরিসর ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে।
গত ২৬ মার্চ শুরু হওয়া সাধারণ ছুটির প্রথম সপ্তাহে ব্যাংক লেনদেনের সীমা ছিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরপর চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে তা বাড়িয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এডি শাখার লেনদেনসীমা আরো ১ ঘাণ্টা বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো চাইলে আজ থেকে এডি শাখার লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। তবে ব্যাংকের অন্যান্য কার্যক্রম বেলা ৩টা পর্যন্ত চলবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৮ এপ্রিল থেকে জরুরি বৈদেশিক লেনদেনের জন্য ব্যাংক তার স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচিত এডি শাখার লেনদেনের সময় ১ ঘণ্টা বাড়িয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত লেনদেন করতে পরবে। তবে সাধারণ ব্যাংকিং লেনদেন এ আওতার বাইরে থাকবে।
লেনদেন চলাকালীন গ্রাহকের প্রয়োজনে নগদ অথবা চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলনের পাশাপাশি ডিডি বা পে-অর্ডার ইত্যাদি ইস্যু, ট্রেজারি চালান জমাসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের অথবা ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া গ্রাহক মেয়াদ পূর্ণ হওয়া সঞ্চয়পত্রের নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা অন্য এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম গত ২৪ মার্চ প্রজ্ঞাপন দিয়ে ব্যাংক লেনদেনের সূচিতে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টাকা জমা ও উত্তোলন করা যেত এবং ব্যাংক খোলা থাকত বেলা দেড়টা পর্যন্ত।