কভিড-১৯ মহামারীতে মাস্ক কারখানায় রূপান্তর ইরানের মসজিদ

বণিক বার্তা ডেস্ক

তেহরানের একটি মসজিদকে কারখানায় রূপান্তরিত করে সেখানে মাস্ক তৈরি করছেন মহিলা স্বেচ্ছাসেবীরা। ইরাক-ইরান যুদ্ধের যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে প্রতি বছর দর্শনার্থীদের সহায়তায় কাজ করলেও এখন নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছেন তারা। খবর এএফপি।

কারখানার শ্রমিকদের মতো সারিবদ্ধভাবে টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে প্রায় ১৫ জনের মতো নারী সেলাই মেশিনে মাস্ক তৈরি করছেন। তবে তাদের গায়ে সাধারণ বোরখা নেই, বরং রয়েছে কালো চাদর যা বলে দিচ্ছে তারা ইরানের বিপ্লবী সরকারের অনুগত মিলিশিয়া বেসিজের সদস্য। ইরান কভিড-১৯ মহামারীতে মারাত্মক আক্রান্ত দেশের একটি হওয়ায় কর্মরত সব নারীর মুখেই মাস্ক রয়েছে।

স্বামীসহ বেসিজের সঙ্গে যুক্ত ২৭ বছর বয়সী নারী ফাতেমা সাইদী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমাদের দলটি ইরান-ইরাক যুদ্ধের যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে দর্শনার্থীদের সেবায় কাজ করেছে।

প্রায় ৪০ জন নারীর ওই দলটি প্রতি বছর ১৯৮০-১৯৮৮ যুদ্ধের যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে পরিদর্শনকারী ছাত্রদের সহায়তা করত। শিক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইরানের নববর্ষের ছুটিতে ছাত্ররা যুদ্ধক্ষেত্রগুলো ভ্রমণ করে থাকে।

চলতি বছরে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে এক শহর থেকে অন্য শহরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করায় এবার যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে যেতে পারেনি বলে জানান ফাতেমা। কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্বদেশবাসীর সেবায় তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

কভিড-১৯ মোকাবেলায় জাতীয় প্রচেষ্টায় তাদের ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে দলটি কাজ করে যাচ্ছে, যাতে পর্যন্ত হাজার ৭০০ জন প্রাণ হারিয়েছে।

সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, আমাদের পরিস্থিতি দুদিক থেকে বিপত্তিকরআমরা নিষেধাজ্ঞা করোনাভাইরাস দুটিরই মুখোমুখি হচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন