ভারতে নভেল করোনাভাইরাস ডিজিজ বা কভিড-১৯-এ সংক্রমিতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ফলে বাড়ছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), মাস্ক,
পরীক্ষার কিট ও আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটরের মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির চাহিদা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, মরণঘাতী ভাইরাসটি প্রতিরোধে আগামী জুনের মধ্যে দেশটিতে ২ কোটি ৭০ লাখ এন৯৫ মাস্ক, দেড় কোটি পিপিই, ১৬ লাখ পরীক্ষার কিট এবং ৫০ হাজার ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হতে পারে। খবর বিজনেস স্ট্যাডার্ড।
এর আগে ৩ এপ্রিল ভারত সরকারের থিংক ট্যাংক এনআইটিআই আয়োগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অমিতাভ কান্তের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সরকারি কর্মকর্তারা নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহে শিল্প খাতের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে ভারতে ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হতে পারে। যার মধ্যে দেশটিতে এখন পর্যন্ত রয়েছে ১৬ হাজার। আর বাকি ৩৪ হাজারের জন্য এরই মধ্যে উৎপাদনের আদেশ দেয়া হয়েছে। এর পরেও এসব সরঞ্জামের সংকট তৈরি হলে আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ বৈঠকে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
ভারতে কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরুর পর পিপিইর তীব্র সংকট দেখা দেয়। আর নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এসব সরঞ্জামাদির চাহিদা মোকাবেলা কিছুটা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কারণে এরই মধ্যে শিল্প উৎপাদন স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এই খাতে নতুন করে বিনিয়োগ করাটা তাদের জন্য কিছুটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কভিড-১৯-এর উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য ভারত সরকার এরই মধ্যে দেশটির শিল্প খাতের ১১টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি গ্রুপ গঠন করেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে যেন তাদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ সংক্রমিতের সংখ্যা ১২ লাখ ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার লোকের। অন্যদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে গতকাল পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৭ জন সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০৯ জন।