দক্ষিণ কোরিয়ার
দ্য ফ্লু
জু বায়ুং উ ও জু বাইং কি—দুই ভাই। সিউলে চোরাকারবারি হিসেবে কাজ করেন। একদিন তারা হঠাৎ করেই দেখতে পান, কোনো অজানা এক অসুস্থতার কারণে অবৈধ অভিবাসীরা একটি শিপিং কনটেইনারের ভেতরেই মারা গেছেন। এমন চিত্র দেখার পরই তাদের সেলফোনে সেই মরদেহের ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। এরপর সেটি তারা তাদের ঊর্ধ্বতনকে দেখান। কিন্তু এর পরই জু বায়ুং উ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তারপর তিনি একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ঘটে যায় আরেক বিপত্তি। সেখানে তাকে যারা স্পর্শ করেন, তারাও এ রোগে আক্রান্ত হন। ধীরে ধীরে পুরো শহরে এ ভাইরাসজনিত রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এক মহামারীতে রূপ নেয়।
এমন ঘটনা নিয়েই নির্মিত দক্ষিণ কোরীয় চলচ্চিত্র ‘ফ্লু’। যেখানে দেখানো হয়েছে এইচ৫এন১ এমন এক ভাইরাস, যাতে আক্রান্ত হওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ মারা যায়। এ ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সেওংনামের বুন্দাংতে। এতে অর্ধমিলিয়ন লোকের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
২ ঘণ্টা ২ মিনিটের এ সিনেমা নির্মাণ করেছেন কিম সাং সু। সিনেমাটি ২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট মুক্তি পায়। অ্যাকশন, বিপর্যয়, ড্রামা, বিজ্ঞান কল্পকাহিনীনির্ভর এ সিনেমার গল্প লিখেছেন জং জা হো। সিনেমাটির কোরীয় ভাষা ছাড়াও ইংরেজি, ইন্দোনেশীয় ও ফিলিপিনো ভাষায় সাবটাইটেল রয়েছে।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সু আ, কাং জি কু, পার্ক মিন হা, মা ডোং সক, চোই বিয়ং মোসহ আরো অনেকেই। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন কিম সুং জিন। বক্স অফিসের হিসাব অনুযায়ী এটি ১৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।
দ্য ক্যাসান্দ্রা ক্রসিং
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থায় মার্কিন মিশনে যখন সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশিত হয়, তখন তিন সন্ত্রাসী মার্কিন মিশনটিকে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। নিরাপত্তারক্ষীরা দুজনকে গুলিবিদ্ধ করে এবং এদের একজন মারা যায়, কিন্তু তৃতীয়জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বেঁচে থাকা সন্ত্রাসীকে হাসপাতালে ভর্তি ও কোয়ারেন্টিনড করা হয়। সে ছিল সুইডিশ। এলেনা স্ট্র্যাডনার ও মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা কর্নেল স্টিফেন ম্যাকেনজি প্লেগের স্ট্রেনের প্রকৃতি নিয়ে তর্ক শুরু করেন। স্ট্র্যাডনার সন্দেহ করেন এটি একটি জীবাণু অস্ত্র, তবে কর্নেল ম্যাকেনজি দাবি করেছেন এটি ধ্বংস হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এমনই গল্পের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র দ্য ক্যাসান্দ্রা ক্রসিং। এটি দুর্যোগ থ্রিলার চলচ্চিত্র হিসেবে অভিহিত। ব্রিটিশ ও ইতালীয় উদ্যোগে নির্মিত চলচ্চিত্রটি ১৯৭৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। ২ ঘণ্টা ৯ মিনিটের সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইতালীয় বংশোদ্ভূত নির্মাতা জর্জ পি কসমাটোস।
সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন জন গোল্ডস্মিথ ও জন উইলামস। চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা নিজে ও রবার্ট কাটজ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন কার্লো পন্টি। সোফিয়া লরেন তখন কার্লো পন্টির স্ত্রী।
দ্য ক্যাসান্দ্রা ক্রসিং ছবিতে অভিনয় করেছেন সোফিয়া লরেন অভিনীত, রিচার্ড হ্যারিস, আভা গার্ডনার, মার্টিন শেন, বার্ট ল্যাঙ্কাস্টার, লি স্ট্রেসবার্গ ও ওজে সিম্পসন।
ব্রিটিশ মিডিয়া টাইকুন স্যার লিউ গ্রেড ও ইতালীয় নির্মাতা কার্লো পন্টির সহযোগিতা নিয়ে নির্মিত তারকাবহুল ছবিটি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করবে এবং সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এটা সবাই আশা করেছিলেন। ছবির স্বত্ব মুক্তি পাওয়ার আগেই আমেরিকা ও ব্রিটেনের পরিবেশকদের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।