নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পুরো পৃথিবী স্থবির হয়ে গেছে। বিশ্বের অর্থনীতি হঠাৎ করে থমকে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি ১৮১ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। সরকার কর্তৃক সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর বিপাকে পড়েছে দেশের দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত, নিম্ন আয়ের ও কর্মহীন মানুষরা। এ সংকটে ঢাকা ও নিজ এলাকার প্রায় এক হাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী ইয়ামিন হক ববি। গত কয়েক দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, কমলাপুর, মগবাজারের বিভিন্ন স্থানে সমাজের খেটে খাওয়া ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষের কাছে নিজের সাধ্যমতো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া এ সংকটে নিজের জন্মস্থান জামালপুরের কিছু মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন এ অভিনেত্রী। ববি টকিজকে বলেন, ‘আমরা এর আগে অনেক সময় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তবে বিষয়টা অন্যসব বিষয়ের চেয়ে একদম আলাদা। এ সংকট তো বৈশ্বিক। এবার আমরা এ সংকট মোকাবেলায় বিশ্বের সব জাতির সঙ্গে এক হয়েছি। আমরা সবাই মিলে এক হলে অবশ্যই সফল হব।’
এ অভিনেত্রী মনে করেন, প্রতিটি নেতিবাচক দিকেরই একটা ইতিবাচক দিক থাকে। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বাজে একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তবে সময়টা আমাদের শিখিয়ে যাচ্ছে জীবনের জন্য আসলে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ কী? আমাদের আরো মানবিক হওয়া ভীষণ জরুরি।’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বের না হয়। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে খবর ও ভিডিওচিত্র দেখে অসহায় মানুষের জন্য কিছু একটা করার তাড়না বোধ করেছেন ববি। সে ভাবনা থেকেই এমন কার্যক্রম। এরপর শুধু পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছেন।
কথার এক প্রসঙ্গে ববি বলেন, ‘আমার শুধু একটা কথাই বারবার মনে হয়েছে, যেভাবেই হোক ওইসব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই হবে। খাবারের সংকটে যেন কেউ প্রাণ না হারায়।’
তিনি আরো বলেন, আমরা নিজেরাই কেবল নিজেদের এ বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা আমাদের সবার মেনে চলা উচিত। সবাই একটুখানি সতর্ক হলে বেঁচে যাবে হাজারও প্রাণ।’
বিশ্বের যেসব দেশ এ সংকট মোকাবেলায় সফল হয়েছে, তাদের কাছে থেকে আমাদের শেখা উচিত বলে মনে করছেন ববি। বর্তমানে মুক্তি অপেক্ষায় আছে ববি অভিনীত ‘বৃদ্ধাশ্রম’
চলচ্চিত্রটি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন গায়ক এসডি রুবেল। ছবিটি নির্মাণ করেছেন স্বপন চৌধুরী।
