নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী যখন দেশে দেশে খাদ্য সংকটের ঝুঁকি তৈরি করেছে, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) কৃষিপণ্যের সাপ্তাহিক গড় দাম আগের তুলনায় কমে এসেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউনের কারণে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে থাকায় বেচাকেনা কমে কৃষিপণ্যের দরপতনে ভূমিকা রেখেছে। খবর সিনহুয়া ও এগ্রিমানি।
সিবিওটি প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, সর্বশেষ সপ্তাহে জুলাই মাসে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি বুশেল (৬০ পাউন্ড) গমের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৫ ডলার ৮০ সেন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় বুশেলে ২১ সেন্ট কম।
এ সময় ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে সয়াবিনের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৮ ডলার ৫০ সেন্টে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কৃষিপণ্যটির গড় দাম বুশেলে ২৫ সেন্ট কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে ভুট্টার গড় দাম বুশেলে ১৫ সেন্ট কমেছে।
কৃষিপণ্যের দরপতনের পেছনে দেশে দেশে লকডাউনের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। লকডাউনের কারণে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় বেচাকেনা কমে গম, ভুট্টা ও সয়াবিনের দাম কমেছে। প্রভাব পড়েছে রফতানিতেও। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ বুশেল সয়াবিন রফতানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটি থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানি কমেছে ৬ কোটি ৭০ লাখ বুশেল।
তবে চীনের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এখন দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বাড়াতে পারে। আর তাহলে কৃষিপণ্যটির দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ভুট্টার দরপতনের পেছনে অন্যতম প্রভাবক ছিল ইথানল খাতের মন্দা ভাব। মানুষ ঘরবন্দি থাকায় ইথানলের চাহিদা ও উৎপাদনে ধস নেমেছে। ফলে জৈব জ্বালানিটির প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ভুট্টার বেচাকেনা কমে দামে ধস নেমেছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে ভুট্টার মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ।