অর্থনীতির থেমে যাওয়া চাকাটি সচল করতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্টিমুলাস প্যাকেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। এ ভূমিকাটি বেশ সাহসী। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যে আস্থার ক্ষেত্রটি তৈরি হলো সেটাও প্যাকেজের বড় একটি দিক। প্রশংসনীয় বিষয়টি হলো সুদহারে যে ভর্তুকি, সেটা সরকার কিছুটা অংশ নিজেদের ঘাড়ে নিয়েছে। আমাদের কাছে যেটা মূল্যবান সেটা হচ্ছে তদারকি ও বাস্তবায়ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাতে অপচয় না হয় ও কোনো রকম বাড়াবাড়ি না হয়।
যাদের খুবই প্রয়োজন, তারাই যাতে পায়। এটার জন্য তদারকি গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে যদি একটা কমিটি থাকে, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পর্যবেক্ষণ কমিটি—সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখানে ব্যবসায়ীরা থাকতে পারেন, আমাদের চেম্বারের প্রেসিডেন্টরা আছেন, তারা কাজ করতে পারেন। এর সঙ্গে একটা বিষয় হলো আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের বাইরে যারা আছেন, তাদের কীভাবে প্রণোদনার মধ্যে আনা যাবে, সেটাও কিন্তু বিবেচনায় নিতে হবে।
আর একটি বিষয় অত্যন্ত জরুরি—সেটা হলো প্রভাব মূল্যায়ন। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। নিয়মিতভাবে প্রভাব মূল্যায়ন করতে হবে, প্রয়োজনে তা প্রতি সপ্তাহে হতে হবে। এর মাধ্যমে প্রণোদনা প্যাকেজের প্রকৃত প্রয়োজন নিরূপণ করা সম্ভব হবে। কারণ প্রণোদনা যথেষ্ট কিনা, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। যখন দেখবেন কোন সেক্টরে কত প্রয়োজন, হয়তো এটার চেয়ে কমও লাগতে পারে বা এর চেয়ে বেশিও লাগতে পারে। আমরা সবাই এখন যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এ সংকট কিন্তু আধুনিক বিশ্ব দেখেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটা পর্যায়ে জানা ছিল যে আপনার শত্রু কে। কিন্তু এখানে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এজন্যই নিয়মিত প্রভাব মূল্যায়ন জরুরি।
সাবেক সভাপতি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)