এ মুহূর্তে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন ঘোষণার বাস্তবায়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যাদের জন্য এ সুবিধা দেয়া হয়েছে, তারা যাতে দ্রুত সেটি পায়, সে উদ্যোগ নিতে হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বাইরে দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
সামনে বাংলা নববর্ষ ও ঈদ আসছে। বেশকিছু কারখানা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের বার্ষিক ব্যবসার ৫০-৯০ ভাগ এ সময়ে হয়। এ ধরনের ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে সুবিধার আওতায় আনতে হবে।
আরেকটা বিষয় বলতে চাই, আমাদের দেশে দুটি বিষয়ে খুব বেশি মনোযোগ দেয়া হয়। সেটি হচ্ছে বাজেটের ঘাটতি ও মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে রাখা। তবে ঐতিহাসিকভাবে যেসব দেশের অর্থনীতি এ ধরনের বড় সংকট ভালোভাবে মোকাবেলা করেছে, তারা কিন্তু এ দুটি বিষয়ে নজর দেয়নি। এখন সবচেয়ে বেশি নজর দেয়ার সময় ডমেস্টিক ডিমান্ড কীভাবে বাড়িয়ে রাখা যায়। এজন্য পৃথিবীর বড় অর্থনীতিগুলোকেও এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
করোনা আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে না পড়লেও ধীরে ধীরে বাড়ছে। এক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ রাখতে চাই। এ টাস্কফোর্স কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের ভৌগোলিক চিত্রসহ সব বিষয়ে ম্যাপিংয়ের পাশাপাশি এ থেকে উত্তরণের সুপারিশ করবে। তারা সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও তদারক করবে।
সভাপতি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)