ব্যাংকিং খাতে নির্ভরশীলতা বড় চ্যালেঞ্জ : সালেহউদ্দিন আহমেদ

প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপটা ইতিবাচক। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বিবেচনায় তিনি এটা করেছেন। তবে এর সুফল পাওয়া যাবে, যদি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। এটির বেশির ভাগই ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীল। ব্যাংকের দক্ষতা নিষ্ঠার যা অবস্থা, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এটা কতটা কাজে দেবে, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যাংকগুলোকে সততা, দক্ষতা, নিষ্ঠার সঙ্গে দ্রুত কাজগুলো করতে হবে। প্রক্রিয়াগুলোও সম্পন্ন করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। আর তা অবশ্যই বাস্তবসম্মত হতে হবে। প্যাকেজটা শিল্পসংশ্লিষ্টদের জন্য বেশি সুবিধাজনক ফেভারেবল। এতে আপত্তি নেই, তবে অর্থের সংস্থানে আরেকটু বেশি জোর দেয়া উচিত ছিল। এসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো এসএমইদের কতটা দেবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে যাচ্ছে।

অর্থনৈতিক মন্দার প্যাকেজগুলোর সুফল পেতে ছোট ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব দিতে হয়। প্রান্তিক পর্যায়ে ছোটখাটো দোকানপাটগুলোতেও অর্থ নিশ্চিত করতে হবে। খাবার-দাবার বা রেশনিংয়ের বিষয়টি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমার ধারণা, নগদ অর্থ মানুষের বেশি কাজে লাগে। নানা ধরনের কাজে নগদ অর্থ কাজে লাগানো যায়। আর এর প্রভাবে চাহিদার ক্ষেত্রটিও উজ্জীবিত হয়, যেটাকে আমরা বলি সামগ্রিক চাহিদা। কৃষি খাতের প্যাকেজটা প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজে আসা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। এদের জন্য যথাযথ প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কিছু বলা উচিত ছিল। এটা থাকলে তারাও আশ্বস্ত হতেন যে সরকার আমাদের জন্য কিছু একটা করছে।

সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন