বরিশালে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিল নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। গতকাল সকাল ৯টা থেকে মিল গেটের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলেও এ মিলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। এ অবস্থায় তাদের দুই মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। আর মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, সাধারণত ২০-২৫ তারিখের মধ্যে আগের মাসের বেতন দেয়া হয়। তবে এবার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৮ এপ্রিলের মধ্যে বেতন দেয়া হবে।
জানা গেছে, নগরীর বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের দপদপিয়া শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুসংলগ্ন এলাকায় সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলটি অবস্থিত। খান সন্স গ্রুপের মালিকাধীন এ কারখানায় এক হাজারের মতো শ্রমিক-কর্মচারী আছেন। গত মার্চসহ তাদের দুই মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এদিকে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলেও এ মিলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। গতকাল সকাল ৯টার দিকে এ মিলের শ্রমিকরা ফটকের সামনে সমবেত হয়ে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে চলতি মাসের ৮ তারিখের মধ্যে গত মাসের বেতন পরিশোধ করার কথা জানানো হলে বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকরা কাজে ফিরে যান।
শ্রমিকরা জানান, এ মিলে কাউকেই নিয়মিত বেতন দেয়া হচ্ছে না। এক মাসের বেতন দেয়া হয় আরেক মাসের শেষে। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের প্রকল্প কর্মকর্তা সালাউদ্দিন চৌধুরী খোকন বলেন, মূলত গত মাসের বেতন ২৫ এপ্রিল দেয়ার কথা। কিন্তু শ্রমিকরা আগেই বেতন দাবি করেছেন। এজন্যই তারা মিলের গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। পরে ওসি সাহেব এসে ৮ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধের কথা বলেন। আমরাও তার কথা মেনে নিয়েছি। শ্রমিকরা পুনরায় কাজে যোগদান করেছেন।
বেতন পরিশোধে বিলম্বের বিষয়ে তিনি বলেন, সাধারণত ২০-২৫ তারিখের মধ্যে আগের মাসের শ্রমিকদের বেতন দেয়া হয়। শেষ দিকে বেতন দেয়ার বিষয়টি কোম্পানির একটি পলিসি। এ বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবেন।
