সচল ছিল ১৪৯৯ কারখানা

পোশাক কারখানা ৫১৫টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গতকাল দেশের শিল্প অধ্যুষিত ছয়টি অঞ্চল আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ময়মনসিংহ এলাকায় মোট হাজার ৪৯৯টি শিল্প-কারখানা সচল ছিল। যার মধ্যে বিজিএমইএ বিকেএমইএ সদস্য পোশাক কারখানা ৫১৫টি। শিল্প পুলিশ সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আশুলিয়া এলাকায় পোশাক কারখানা আছে মোট ৫০৬টি। এর মধ্যে গতকাল খোলা ছিল ৬৬টি। যার মধ্যে বিজিএমইএ সদস্য এমন কারখানা ৪৯ এবং বিকেএমইএর সদস্য ১৭টি।

গাজীপুরে পোশাক কারখানা আছে ৯৬৮টি। এর মধ্যে খোলা ছিল ১২৫টি। যার মধ্যে বিজিএমইএ সদস্য ১১১ বিকেএমইএ সদস্য ১৪টি।

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানা আছে মোট ৪০৮টি। এর মধ্যে খোলা ছিল ২৬৫টি। খোলা কারখানাগুলোর মধ্যে বিজিএমইএ সদস্য ২৫০ এবং বিকেএমইএ সদস্য কারখানা ১৫টি।

নারায়ণগঞ্জ এলাকায় পোশাক কারখানা হাজার ৪৬টি। খোলা ছিল ২৮টি। যার মধ্যে বিজিএমইএ সদস্য এবং বিকেএমইএ সদস্য ২০টি।

ময়মনসিংহে মোট পোশাক কারখানার সংখ্যা ৫০। এই কারখানাগুলোর সবই বিজিএমইএর সদস্য। ওই এলাকায় মোট ২৮টি পোশাক কারখানা গতকাল খোলা ছিল।

খুলনায় পোশাক কারখানা পাঁচটি। এর সবই বিজিএমইএর সদস্য। যার তিনটি গতকাল খোলা ছিল বলে শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

দেশের ছয়টি শিল্প এলাকায় বস্ত্র, পোশাক, চামড়া, ওষুধ, ফার্নিচার, মোবাইল সংযোজন, সিরামিকসহ সব খাত মিলিয়ে মোট শিল্প-কারখানা আছে হাজার ৬০২টি। যার মধ্যে গতকাল বন্ধ ছিল হাজার ১০৩টি। হিসাবেই খোলা কারখানার সংখ্যা হাজার ৪৯৯। এই ছয় এলাকার শিল্প-কারখানাগুলোয় কাজ করেন ৩০ লক্ষাধিক শ্রমিক।

সরকার শিল্প মালিকদের সংগঠন দুই পক্ষ থেকেই বলা হয়েছিল যেসব কারখানায় আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আছে এবং যেসব কারখানা পিপিই তৈরি করছে এমন কারখানাগুলো কভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সর্বোচ্চ নিশ্চিত করা সাপেক্ষে কারখানা সচল রাখবে। গতকাল গভীর রাতে পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ বিকেএমইএর পক্ষ থেকে কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি . রুবানা হক বলেন, রাতারাতি কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা কারখানা বন্ধ রাখার সুপারিশ অব্যাহত রাখছি। আমাদের সব সদস্যকে যত দ্রুত সম্ভব মার্চের বেতন পরিশোধ করার তাগিদ জানাচ্ছি। তাদের সহায়তার জন্য একটি সেলও চালু করেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন