১৫ বছর পর সত্যি হলো পিটার মের উপন্যাস ‘লকডাউন’

বণিক বার্তা অনলাইন

স্কটিশ স্ক্রিনরাইটার পিটার মে অনেকটা হঠাৎ করেই উপন্যাসিক হিসেবে আবির্ভুত হন। কিন্তু গল্প খুবই অবাস্তব ভেবে তার একটি উপন্যাস ছাপতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন প্রকাশক। কাকতালীয়ভাবে ১৫ বছর পর এসে তার সেই উপন্যাসের নামটিই মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে দেশে চলছে ‘লকডাউন’। হ্যাঁ, পিটার মের উপন্যাসের নামটিও ‘লকডাউন’! ২০০৫ সালে তিনি এক বৈশ্বিক মহামারী কল্পনা করে লিখেছিলেন এ উপন্যাস। প্রকাশক বলেছিল এ গল্প খুবই অবাস্তব, গাঁজাখুরি!

করোনাভাইরাস মহামারীর বাস্তব অভিজ্ঞতা যখন হলো তখন খুলে গেল প্রকাশকের চোখ। গত বৃহস্পতিবার উপন্যাসটি প্রকাশ পেয়েছে।

এ রোমাঞ্চ উপন্যাসের গল্পের ঘটনাস্থল লন্ডন। বৈশ্বিক মহামারীর ভরকেন্দ্র তখন এই শহর। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। অবশ্য এ গল্প পিটার মের একেবারে কল্পিত ঘটনা নয়। তিনি উপন্যাসের গল্পকে যতোটা সম্ভব বাস্তব করে তুলতে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতি সম্পর্কিত ২০০২ সালের কিছু নথিপত্র থেকেও তথ্য নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে পিটার মে বলেন, আমি যখন বইটি লিখি তখন বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করছিলেন- বার্ডফ্লু হতে যাচ্ছে আগামী বৈশ্বিক মহামারী। এটা খুবই ভীতিকর একটা ব্যাপার ছিল এবং সত্যিই খুবই সম্ভাব্য একটি ব্যাপারও। এ কারণে আমি এটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করি এবং একটা আইডিয়া পেয়ে যাই- আচ্ছা এই মহামারী যদি লন্ডন থেকে শুরু হয়? এমন একটি শহর যদি সম্পূর্ণ লকডাউন হয়ে যায় তাহলে কী কী ঘটতে পারে?

বার্ডফুলও ভাইরাসজনিত রোগ। যদিও নভেল করোনাভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু পিটার মের কল্পিত লকডাউন একেবারে মিলে যাচ্ছে। ১০ লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত, লাখে লাখে সেলফ আইসোলেশনে। 

পিটার মের প্রকাশক আশা করছে, এই বইয়ের কাটতি হবে অসম্ভব রকম! বইটি অ্যামাজন ইউকেতে কিন্ডল ফরমেটে পাওয়া যাচ্ছে। ৩০ এপ্রিল থেকে পেপার ব্যাক এবং অডিওবুক ফরমেটেও পাওয়া যাবে।

সূত্র: সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন