নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা না মানায় দুই জেলায় ৩০ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে বাগেরহাটে শরণখোলায় মূল্যতালিকা না থাকায় তিন ব্যবসায়ী ও দিনাজপুরের হিলিতে দোকান খোলা রাখা এবং অযথা ঘোরাঘুরির কারণে ২৭ জনকে জরিমানা করা হয়।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
বাগেরহাট: গতকাল দুপুরে শরণখোলা বাজারে মূল্যতালিকা না থাকা ও শিশুখাদ্য বিক্রির লাইসেন্স না থাকায় তিন ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী এ জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। শরণখোলা বাজারে মূল্যতালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনে মেসার্স রহমান স্টোরের মালিক আ. রহমান
ও মেসার্স ডালিম স্টোরের মালিক ডালিমকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে প্রকাশ্যে মূল্যতালিকা রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া শিশুখাদ্যের লাইসেন্স না থাকায় বেবি শপের মালিক তুফানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হিলি: দিনাজপুরের হিলিতে সরকারি নির্দেশনা না মেনে অযথা বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি ও দোকান খোলা রাখায় ২৭ জনকে ২৭ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হিলি বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জনগণকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এ সময় হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপ্টেন আবু আহাদ হিমেল উপস্থিত ছিলেন।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে হিলিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে। যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি হয়, সেখানে আমরা অভিযান চালিয়েছি। মানুষকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর পাশাপাশি সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। এর পরও অনেকে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বাড়ির বাইরে বের হয়েছেন ও অনেক দোকানি দোকান খুলেছেন। এজন্য ২৭ জনকে ২৭ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।