কর্মহীন অভিবাসীর পরিবারের জন্য অনুদানের দাবি রামরুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দেশের প্রধান শ্রমবাজারগুলো। পরিস্থিতিতে বিদেশে কর্মহীন অভিবাসীদের পরিবারের জন্য বিনা সুদে ঋণ ক্ষেত্রবিশেষে অনুদানের জন্য তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)

গতকাল অনলাইন ব্রিফিংয়ে রামরুর চেয়ারম্যান অধ্যাপক . তাসনিম সিদ্দিকী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশীদের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক প্রস্তাব ঋণ তহবিল গঠনের দাবি জানান। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে রফতানিমুখী শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার জন্য সরকারের হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন প্রশংসনীয়। একই সঙ্গে বিদেশে কর্মহীন অভিবাসীদের পরিবারের জন্য বিনা সুদে ঋণ ক্ষেত্রবিশেষে অনুদানের জন্য তহবিল গঠনের দাবি জানাচ্ছি।

প্রতিবেদন তুলে ধরে তাসনিম বলেন, অভিবাসীরা আশা করছেন নভেল করোনাভাইরাসে যারা মারা গেছেন, তাদের অবদান তুলে ধরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শোক প্রকাশ করবে। দেশে বিদেশে যারা করোনায় মারা গেছেন, তাদের জন্য ১২ এপ্রিল দেশে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা সকাল ৯টায় (যার যার সময়) মিনিট নীরবতা পালন করার প্রস্তাবও দিয়েছে রামরু।

. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, করোনা সংক্রমণের উৎস হিসেবে মূলত অভিবাসীদেরই চিহ্নিত করা হচ্ছে। অন্যান্য জনগোষ্ঠী যেমন ব্যবসায়ী, পর্যটক, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত যাত্রীদের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায়নি। অনেক ক্ষেত্রে তারাও কোয়ারেন্টিনে আসেননি কিন্তু তা নিয়ে তেমন তোলপাড় হয়নি।

রেমিট্যান্স পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ১২ শতাংশ। সামনে আরো কমবে। রেমিট্যান্স প্রবাহে নিম্নগতি জাতীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি রেমিট্যান্সনির্ভর পরিবারগুলোতে দেখা দেবে দারিদ্র্য। এসব পরিবারের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস স্থানীয় বাজারের ওপর প্রভাব ফেলবে।

তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘমেয়াদে নভেল করোনাভাইরাসের সব ফলাফলই কিন্তু নেতিবাচক হবে না। করোনার কারণে পরবর্তী সময়ে কিছু নতুন কাজেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। জার্মানি মেডিকেল স্টাফের স্বল্পতা মেটাতে অভিবাসী শরণার্থীদের ব্যবহার করছে। আমেরিকা, জাপান, কানাডা, অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের মেডিকেল সামগ্রী, ডাক্তার, নার্স, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট ল্যাব টেকনিশিয়ানের ঘাটতির কথা উল্লেখ করছে। এসব ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভবিষ্যতে অভিবাসনের সুযোগ তৈরি করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন