রফতানি বাড়াতে পারে থাইল্যান্ড

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বজুড়ে খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ চরমে উঠেছে। বিভিন্ন দেশ চাল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে দেশে দেশে লকডাউন চলছে। ফলে পণ্যটির সরবরাহ চক্র বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও জোরদার হচ্ছে। পরিস্থিতি থাইল্যান্ড চাল রফতানি বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স।

থাইল্যান্ড বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ। তবে দেশটিতে কয়েক বছর ধরে মাত্রাতিরিক্ত খরা বিরাজ করছে। ফলে চালের উৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। এছাড়া দেশটির স্থানীয় মুদ্রা বাথের শক্তিশালী বিনিময় হারের জেরে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি ক্রমশ কমছিল। ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের শুরুতে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি কমে গত সাত বছরের সর্বনিম্নে নেমে আসে।

তবে পরিস্থিতি পাল্টেছে। মহামারীর প্রভাবে খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় বেশ আগেই ভিয়েতনাম কম্বোডিয়া পণ্যটির রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ফলে প্রতিযোগী কমে যাওয়ায় চাল রফতানি বাড়াতে পারে থাইল্যান্ড।

থাই রাইস এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি চোকিয়াত ওপাহংসি জানান, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) থাইল্যান্ড থেকে চালের রফতানি বাড়তে পারে। কারণ পণ্যটির রফতানি বাণিজ্যে থাইল্যান্ডের শীর্ষ প্রতিযোগী দেশগুলো রফতানিতে সীমাবদ্ধতা টেনেছে। এছাড়া বৈশ্বিক মহামারীর প্রকোপে পণ্যটির সরবরাহে সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিগগিরই দেশটির চাল রফতানি বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, মুহূর্তে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত করে চালের রফতানি লক্ষ্যপূরণের মতো যথেষ্ট চাল মজুদ রয়েছে থাইল্যান্ডের হাতে। দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে কোটি টন চাল উৎপাদন হয়। এর মধ্যে কোটি টনের মতো অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবহার হয়। বাকিটা আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করে দেশটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন