নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে খাদের কিনারায় যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় পত্রিকাগুলো

দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় পত্রিকাগুলোর জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে কভিড-১৯ মহামারী। নভেল করোনাভাইরাসের আগ্রাসনে টিকে থাকতে কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে প্রকাশসংখ্যা কমিয়ে আনার মতো বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তাদের। ধাক্কায় ভবিষ্যতে অনেক পত্রিকাই হয়তো টিকে থাকতে পারবে না বা কার্যক্রম সীমিত করতে বাধ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন আমেরিকাস নিউজপেপারসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডিন রাইডিংস বলেন, আমি এমন অনেক সাপ্তাহিক পত্রিকার কথা জানি যেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কিছু পত্রিকা শুধু ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করছে। আবার অনেক দৈনিক পত্রিকা সপ্তাহে মাত্র দুদিন প্রকাশনায় যাচ্ছে। বিজ্ঞাপনপ্রাপ্তি এখন বিরল ঘটনা হিসেবে দাঁড়িয়েছে, কারণ কোম্পানিগুলো অগুরুত্বপূর্ণ ব্যয় কমিয়ে তাদের নগদ অর্থ সংরক্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে। রাইডিংস বলেন, গত ৩০ দিনে আয় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ কমার খবর পাচ্ছি। ওই পত্রিকাগুলোর বেশির ভাগ বিজ্ঞাপনই আসত স্থানীয় বিভিন্ন বাবা-মা, খুচরা ব্যবসায়ী, রেস্টুরেন্ট থেকে; যারা মুহূর্তে বিজ্ঞাপন দেয়া থেকে বিরত থাকছে। ছোট ছোট আউটলেটের পাশাপাশি ভুগছে গ্যানেটের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সংবাদপত্র চেইনটিও। চলতি সপ্তাহে তারা জানায়, কভিড-১৯-এর প্রভাব মোকাবেলায় কর্মী ছাঁটাই সাময়িক প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউএসএ টুডেসহ কয়েকশ স্থানীয় পত্রিকার স্বত্বাধিকারী গ্যানেট আরো জানায়, তারা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান স্থগিত করেছে এবং ঋণ কমাতে রিয়েল এস্টেট বিক্রি করে দিচ্ছে। ব্লুমবার্গ

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন