এখন মাস্ক পরতে বলছে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন দেশের চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা। তবে মাস্ক পরার বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে দুই ধরনের পরামর্শ পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক অথবা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতে এখন পরামর্শ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) যদিও এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সিডিসির পক্ষ থেকে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছিল। তবে সার্জিক্যাল মাস্ক নয়, কাপড়ের মাস্ক পরতে সিডিসির পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন। বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, কিছু মানুষ এটা পরতে চায় না। কারণে আমি মনে করি না যে এটা পরা বাধ্যতামূলক। তবে কেউ চাইলে তা পরতে পারে। মাস্ক নয়, মানুষ স্কার্ফ পরতে চায়। যাদের কাছে এটি আছে, তারা এটাই পরতে চায়। অনেক ক্ষেত্রে স্কার্ফটাই ভালো।

তবে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা মনে করেন, মাস্ক পরার ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কার্যক্রমের সমন্বয়ক ডা. ডেবর্থ ব্রিক্স বলেন, আমরা মানুষকে এটা মনে করাতে চাই না যে মাস্ক পরলেই আমি সুরক্ষিত এবং অন্যকে সুরক্ষা দিচ্ছি। মূলত মাস্ক পরলে কিছুটা ঝুঁকি কমে। তবে এছাড়া এমন অনেক কিছু আছে, যা থেকে ছড়াতে পারে প্রাণঘাতী ভাইরাস। মাস্ক ছাড়াও মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

ডব্লিউএইচও বলছে, শুধু দুই ধরনের মানুষ মাস্ক ব্যবহার করতে পারে: সেই সব মানুষ যারা অসুস্থ যাদের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে এবং সেসব ব্যক্তি যারা অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা দেবেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ৯৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫৯। আর মৃতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার মানুষের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন