সবজির দাম কম চড়া ফলের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা দেশে কার্যত অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ক্রেতা কমছে কাঁচাবাজারে। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই শাক-সবজির দাম কমেছে ব্যাপক হারে। অন্যদিকে ঠিক উল্টো চিত্র ফলের বাজারে। সরবরাহ কম, বিপরীতে চাহিদা বেশি। এর প্রভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে ফলমূলের দাম।

গতকাল ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়। মানভেদে প্রতি কেজি বরবটির দাম ছিল ২৮-৩২ টাকা। বেগুন বিক্রি হয়েছে ২০-২৩ টাকা কেজি দরে। করলার কেজি ছিল কমবেশি ৩০ টাকা। শসার কেজি নেমেছে ১৫ টাকায়। সপ্তাহ দুয়েক আগেও ঢাকার বড় বড় আড়তে খুচরায় ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হতো এসব সবজি। ১৫ টাকার মধ্যেই মিলেছে বড় আকারের একটি বাঁধাকপি। সপ্তাহ দুয়েক আগে একই সাইজের একটি বাঁধাকপির দাম পড়ত ২৫ টাকার ওপরে। ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া শসার দাম নেমে এসেছে ১২-১৫ টাকায়।

ঢাকার বাইরের অবস্থা ভীষণ খারাপ। স্থানীয় হাটবাজারে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে ক্রেতার সংখ্যা। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাইকারি ক্রেতা নেই বললেই চলে। ফলে এক প্রকার পানির দরেই - টাকা কেজি দরে বেগুন, টাকা কেজি দরে মুলা, - টাকা কেজি দরে শসা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো বিভিন্ন সবজি বিক্রি হওয়ার খবর আসছে গণমাধ্যমে।

এদিকে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় মানুষের মধ্যে ফল খাওয়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর বিপরীতে কমতে শুরু করেছে ফলের সরবরাহ। বাড়তি চাহিদা সরবরাহ কমে আসায় দাম বাড়ছে সব ধরনের ফলের। ১৬৫ টাকার আঙুর ২১০ ১২০ টাকার আপেল ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে কমলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ১২০ টাকার মাল্টার দাম উঠেছে ১৫০ টাকা। ১৮০ টাকার আনার ৩২০, পেয়ারা ৭০-৮০ বরই ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন