মাস্ক পরব, কি পরব না?

বণিক বার্তা ডেস্ক

এশিয়ার বেশির ভাগ দেশের মানুষের ধারণা, মাস্ক সংক্রমণের হার অনেকটা কমিয়ে দেয়। পৃথিবীর অন্য পাশের চিত্রটা অবশ্য খানিকটা ভিন্ন। চেক প্রজাতন্ত্র কিংবা স্লোভাকিয়ার মতো দেশে এখন এটিকে বাধ্যতামূলক করা হলেও যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং সিডনি থেকে সিঙ্গাপুরে মাস্কহীন মুখকে অন্যরা ভর্ত্সনা করছে না। বরং খালি মুখই যেন বেশি গ্রহণযোগ্য। সেখানকার কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য বিভাগ কিংবা গণমাধ্যম সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা মাস্ক পরার ওপর জোর না দিয়ে বরং বেশি বেশি করে হাত ধোয়া সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে।

ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান জেরোম অ্যাডাম বেশ প্রত্যয়ের সঙ্গেই টুইটারে লেখেন, মাস্ক কিনবেন না। ওই সময় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড আইনপ্রণেতাদের কাছে জানতে চান, সাধারণ মানুষের কি মাস্ক পরা উচিত? তিনি পরিষ্কার জবাব পান না

এখন সেই রেডফিল্ডও দ্বিধায় পড়ে গেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মাস্ক নিয়ে নির্দেশনাটি রিভিউ করে দেখছে সিডিসি।

মাস্ক নিয়ে কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

মাস্কের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা ছিল পরিষ্কারশুধু দুই ধরনের মানুষ মাস্ক ব্যবহার করতে পারে: সেই সব মানুষ যারা অসুস্থ যাদের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে এবং সেসব ব্যক্তি যারা অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা দেবেন।

তাহলে আপনি কার কথা শুনবেন?

সাধারণ মানুষের মাস্ক পরার খুব বেশি প্রয়োজন নেই বলেও মত দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

অন্যদিকে মাস্কের পক্ষে কিছু যুক্তিও আছে। নভেল করোনাভাইরাসের মতো কিছু ছোঁয়াচে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে মাস্ক। বিশেষজ্ঞ আদ্রিয়েন বার্খ ২০০৩ সালে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসের দৃষ্টান্ত টেনেছেন, যখন মাস্ক মানুষকে অনেকটা সুরক্ষা দিয়েছিল।

সিএনএন বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন