একঘেয়েমি ভাব কাটাতে সিনেমা হতে পারে ভালো সঙ্গী। কিন্তু কী ধরনের ছবি দেখবেন? ছবি বাছাইয়ের ঝামেলা এড়াতে প্রাণীদের নিয়ে ১০টি ফিকশনাল ও নন-ফিকশনাল ছবির তালিকা দেখা যাক
হ্যালো
শিশুতোষ এ ছবির মধ্য দিয়ে সিনেমাটোগ্রাফার সন্তোষ সিভান চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একটি অল্পবয়সী মেয়েকে নিয়ে ছবিটি নির্মিত। এতে দেখা যায়, ছোট্ট মেয়েটি তার হারিয়ে যাওয়া পোষা কুকুরকে খুঁজতে দুর্দান্ত অভিযান চালায়। শরথের সংগীত এবং সিভানের দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি মুম্বাইয়ের বর্ষাকালের দৃশ্যকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করেছিল। ছবির কাহিনীর সঙ্গে এগুলো ছিল অতিরিক্ত পাওনা।
ফ্রাঙ্কেনউইনি
পোষা প্রাণীর মৃত্যু কতটা হূদয়বিদারক হতে পারে, তা এ ছবি দেখে অনেকটা বোঝা সম্ভব। পরিস্থিতিকে হরর ও কৌতুক করে তুলতে টিম বারটনকে বিশ্বাস করতেই হবে। এ ছবির জন্য বারটনের নাম গোথিক অক্ষরে লেখা থাকবে। মোরগ চোখের বিশ্বদর্শন তরুণ ভিক্টরের কাহিনী নিয়ে এ ছবি। যেখানে দেখা যায়, ভিক্টর একপর্যায়ে তার মারা যাওয়া কুকুর স্পারকিকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। এরপর ভিক্টর খুব দ্রুতই তার প্রতিবেশীদের মারা যাওয়া পোষা প্রাণীদের পুনরুজ্জীবিত করতে থাকে।
শন দ্য শিপ
সেলফ আইসোলেশনের এ সময় মন ভালো রাখার একটি দারুণ ছবি। ব্রিটেনের মোসি বটম নামের গ্রামের এক কৃষক স্মৃতি হারিয়ে ফেলে এবং সেই অবস্থায় সে কোনোভাবে লন্ডনে চলে যায়। তারপর কৃষকের ভেড়ার দল কুকুর বিটজারকে সঙ্গে করে তাকে খুঁজতে চলে যায়।
ফ্যান্টাস্টিক মিস্টার ফক্স
অ্যানিমেশন ছবির জন্য ওয়েস অ্যান্ডারসন বিশেষভাবে পারদর্শী। একই নামের রোয়াল্ড ডাহলের উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মিত। ওয়েস অ্যান্ডারসন ছবিতে স্টোপ-মোশন অ্যানিমেশন ব্যবহার করেছেন। একটি চতুর শিয়াল, শাবক এবং একজন প্রতিবেশী কৃষকের গল্প নিয়ে এটি নির্মিত।
বেইব
এই টকিং অ্যানিমেল ছবিতে একই সঙ্গে আন্তরিকতা ও চতুরতা—দুটি বিষয়েরই স্বাদ পাওয়া যাবে। ছবিটি ব্রিটিশ লেখক ডিক কিং-স্মিথের ১৯৮৩ সালে শিশুতোষ বই ‘দ্য শিপ পিগ’-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি একটি পিগের (শূকর ছানা) কাহিনী।
এইট বিলো
অ্যান্টার্কটিকার একদল গবেষকের সঙ্গে কয়েকটি কুকুর থাকে। তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে যারা পেছনে পড়ে যায়। ছয় মাস পর গবেষক দলের একজন পল ওয়াকার তাদের সন্ধানে চলে যান। এটি একটি সত্য কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত।
হোয়াইট গড
হাঙ্গেরিয়ান পরিচালক কর্নেল মানড্রুকজো ২০১৪ সালে এটি তৈরি করেন। মিশ্র প্রজাতির কুকুরদের ভ্রমণের মধ্য দিয়ে রূপক অর্থে অভিবাসী ও বহিরাগতদের ইউরোপে চিকিৎসা অন্বেষণের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। একটি কুকুর তার মালিকের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যায়। এক সময় কুকুরটি নেতা হয়ে ওঠে। যে কিনা তাদের ন্যায়বিচারের জন্য কথা বলতে শুরু করে।
হ্যারি অ্যান্ড টন্টো
পল মাজুরস্কির এ ছবিতে প্রবীণ হ্যারি তার আদরের বিড়াল টন্টোর সঙ্গে রাস্তায় চলা শুরু করেন। হ্যারি যখন আমেরিকা পার হওয়ার পথে, তখন তিনি তার পুরনো বন্ধুবান্ধব এবং নতুন বন্ধু বিশ্বস্ত ট্যাবির সঙ্গে দেখা করেন। এ রকম একটি গল্প নিয়ে ছবিটি নির্মিত। এ ছবিতে হ্যারি চরিত্রের জন্য আরট কারনে অস্কার জিতেছিলেন।
বোল্ট
ক্রিস হাওয়ার্ড এবং বাইরন হাওয়ার্ড পরিচালিত ডিজনির একটি দারুণ ছবি এটি। ছদ্মবেশী একটি বিড়াল, একটি কুকুর এবং টেলিভিশনে আসক্ত একটি গৃহপালিত ইঁদুরের গল্প নিয়ে তৈরি।
দ্য স্টোরি অব দ্য উইপিং ক্যামেল
মানুষ এবং প্রাণিসম্পদের মধ্যকার স্থায়ী বন্ধন নিয়ে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। যার মূল পটভূমি হলো গোবি মরুভূমি। যাযাবর মেষপালক যিনি একজন সংগীতজ্ঞও বটে। তিনি ও তার উটের গল্প নিয়েই ছবির কাহিনী।
সূত্র: স্ক্রল ইন