সেবা অব্যাহত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চায় এমটব

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারাদেশে চলমান সাধারণ ছুটির মধ্যে টেলিকম সেবা অব্যাহত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)। সংগঠনের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অব.) গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে টেলিকম খাতের চলমান সঙ্কটের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, অর্থনীতির অন্যান্য সমস্ত খাতের মতোই টেলিকম খাতও চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। মোবাইল সেবাদাতারা গ্রাহকদের সেবা ব্যবহারের ধরন পর্যবেক্ষণ করে আশংকা করছে যে এই প্রবণতা তাদের সামগ্রিক আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে। 

খুচরা চ্যানেলের মাধ্যমে মোবাইলে টাকা রিচার্জের হার কমার তথ্য বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মানুষদের চলাচলের সীমাবদ্ধতার কারণে খুচরা চ্যানেলের মাধ্যমে মোবাইলে টাকা রিচার্জের হার প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। এই সঙ্কটকালে টেলিকমকে জরুরি পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও দেখা যাচ্ছে যে সরকারি নির্দেশাবলীর ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঠিক ধারণা না থাকায় টেলিকমের খুচরা কর্মকাণ্ডগুলো বিশেষত টপ-আপ বা রিচার্জ পরিষেবাগুলোর কর্মকাণ্ডে বাধা আসছে। মোবাইলের স্থানীয় স্টোর এবং অন্যান্য রিচার্জ আউটলেটগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে সে জন্য আমরা আইন প্রয়োগকারীদের সদয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

ডাটা ব্যবহার বাড়লেও ভয়েস কল কমার তথ্য দিয়ে এমটব জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে অপারেটররা ডাটা প্যাকের মূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করেছে। যার ফলে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ডাটা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডাটা ব্যবহারের হার দ্রুত বাড়লেও এ থেকে অপারেটরদের আয় এখনও সন্তোষজনক নয়। বিশেষত উদ্বেগজনক হলো যে গত কিছুদিন ধরে ভয়েস কল ২০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি আমরা মোবাইল গ্রাহকদের অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা যেমন ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার, মোবাইল মানি কিংবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি ব্যবহার করে টকটাইম রিচার্জ করতে উৎসাহিত করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন