নারায়ণগঞ্জে আইসোলেশনে ১, কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসকসহ ১০

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর পর তার সংস্পর্শে আসা সদর হাসপাতালের এক ওয়ার্ডবয়কে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ওই নারীর চিকিৎসা দেয়া এক ডাক্তারসহ ১০ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনায় মৃত নারীর বাড়িসহ আশপাশের একশ পরিবারকে লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরিবারগুলোর সব সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। তবে ওই নারী কীভাবে এবং কার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সেটি এখনো নির্ণয় সম্ভব হয়নি। আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

এ ঘটনায় পুরো নারায়ণগঞ্জ এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে জেলা সিভিল সার্জন আরো জানান, মৃতের পরিবারের ৭ সদস্যসহ তাকে চিকিৎসাসেবা দেয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিনজনসহ মোট ১০ জনকে কোয়ারেন্টিনে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালের সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, প্রাইভেট ল্যাবের টেকনিশিয়ান, এক্সরে টেকনিশিয়ান, আয়া ও চেম্বার অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন। পাশাপাশি আইইডিসিআরের মাধ্যমে আজকালের মধ্যেই লকডাউনের আওতায় রাখা একশ পরিবারের সকল সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, লকডাউন এলাকাটি আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। লকডাউনে রাখা পরিবরাগুলোর খাবারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী জেলা প্রশাসন থেকে সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি তিনি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান।

এদিকে শুক্রবার সকালে লকডাউন এলাকাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তা শুক্লা সরকার এবং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলমসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সকাল থেকেই ওই এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে ইউএনও শুক্লা সরকার বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলবাগ এলাকায় আক্রান্ত হয়ে যে নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে ওই এলাকার ১০০ পরিবারকে লকডাউনে রাখা হয়েছে। নারী জানাজা, দাফনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাসহ যেসব আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী ওই বাড়িতে এসেছিলেন তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি সেটি নিয়ে কাজ করছি। আক্রান্তের সংখ্যা যাতে না বাড়ে সেই বিষয়টি বিবেচনা নিয়েই প্রশাসন কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, রসুলপুরের যে অংশটি লকডাউন রাখা হয়েছে তাদের খাবার দাবার সহ যাবতীয় বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই বাড়ির একজন করে সদস্য যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারেন সেজন্য ভ্যানে করে তরিতরকারি সহ বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবস্থা করা হয়েছে।

>> করোনায় নারীর মৃত্যু, নারায়ণগঞ্জে রসুলবাগের একাংশ লকডাউন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন