করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের মুহূর্তে সংবাদপত্র ও জ্বালানি পরিবহন ছুটির আওতামুক্ত থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই দুটি বিষয় যুক্ত করে সরকার ঘোষিত ছুটির প্রজ্ঞাপন সংশোধন করেছে। ১ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়।
এর আগে ২৪ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, ছুটি বা বন্ধ সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের জন্য প্রযোজ্য হবে। স্বাস্থ্যসেবা, সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কার্যাবলি চলবে। গণপরিবহন ছাড়া অন্যান্য জরুরি পরিবহন, যেমন ট্রাক, কার্গো, অ্যাম্বুলেন্স ও সংবাদপত্রবাহী গাড়ি ইত্যাদি যথারীতি চলবে।
করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ১০ ও ১১ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটিও এর সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে ছুটি হবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, জরুরি সেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট) ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির মধ্যে পড়বে না। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে এখন সংবাদপত্র ও জ্বালানি পরিবহনের বিষয়টিও যুক্ত করা হয়েছে। ছুটিতে জরুরি প্রয়োজনে অফিসগুলো খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা চালু রাখতে পারবে।