যুক্তরাজ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা

নগদ অর্থ ফুরাতে বসেছে এক-পঞ্চমাংশ প্রতিষ্ঠানের

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে নজিরবিহীন লকডাউনের কবলে পড়েছে বিশ্ব। অবস্থায় বন্ধ হতে বসেছে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। অনেক দেশ এরই মধ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে নীতিসহায়তা দিচ্ছে। বড় ধরনের নীতিসহায়তা দেয়ার মধ্যে অন্যতম দেশ যুক্তরাজ্য। এর পরও দেশটির ক্ষুদ্র মাঝারি ধরনের অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের হাতে নগদ অর্থ ফুরাতে বসেছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে খাতের অন্তত এক-পঞ্চমাংশ প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকতে হলে নগদ অর্থ প্রয়োজন। গতকাল প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিবিসি। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগদ অর্থাভাবের কারণে খুব দ্রুত যুক্তরাজ্যের -১০ লাখ ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকেই জানিয়েছে, তাদের হাতে যে অর্থ রয়েছে, তা দিয়ে আর কয়েক সপ্তাহ টিকে থাকা সম্ভব। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলো জরুরি ভিত্তিতে ঋণসহায়তাও দিতে চাচ্ছে না। 

যদিও দুই সপ্তাহ আগে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, চলমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ নিতে পারবে। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবে। 

বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে সে সময় ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, অনেক ভালো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়ে নগদ অর্থাভাবে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবে না, কর্মীদের বেতন দিতে পারবে না, সরবরাহকারীদের অর্থ দিতে পারবে না এবং সর্বোপরি মজুদ বাড়াতে পারবে নাএমন প্রতিষ্ঠানগুলো আকর্ষণীয় অফারে ব্যাংক থেকে সরকারের দেয়া ঋণ সুবিধা নিতে পারবে। 

তবে অর্থমন্ত্রীর এমন প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবতার মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে। কারণ চলমান পরিস্থিতির মধ্যে অধিকাংশ ব্যাংকের শাখা বন্ধ রয়েছে। ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ব্যাংকঋণ পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো যোগ্য নয় বলে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন