নতুন রূপে ফিরে এসেছে পণ্য বিনিময় প্রথা

বণিক বার্তা ডেস্ক

মার্চের শুরু থেকেই ব্যস্ততম ইন্টারসেকশনগুলোতে ফোল্ডিং টেবিলে চাল, এক বয়াম জ্যাম কিংবা রুটির প্যাকেটের মতো বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেখা যেতে শুরু করে। সেখানে নির্দেশনা থাকত, আপনি যা দিতে পারেন তার বিনিময়ে আপনার যা প্রয়োজনীয় তা নিতে পারেন। করোনাভাইরাস মহামারীতে মধ্যযুগে প্রচলিত পণ্য বিনিময় প্রথা যেন একটু ভিন্নভাবে আধুনিক যুগে ফিরে এল। খবর ব্লুমবার্গ।

ফেসবুক নেক্সটডুরের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এমনতর পোস্টের বন্যা বয়ে যাচ্ছে, যেখানে প্রতিবেশী বন্ধুরা ডিমের বিনিময়ে টয়লেট পেপার পেতে চাচ্ছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকটে নগদ অর্থ সংকটে ভোগা ক্ষুদ্র মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলো অনলাইনে পণ্য বিনিময়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

স্বাভাবিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে ২০০টির মতো পণ্য বিনিময় হতো, সেখানে লকডাউনে কোটি আমেরিকান ঘরে অবস্থানের কারণে নগদ অর্থবিহীন লেনদেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

১০০টি পণ্য বিনিময় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী ইন্টারন্যাশনাল রিসিপ্রোকাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (আইআরটিএ) বলছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান হাজারো পণ্য বিনিময় করছে। মার্চে কিছু প্রতিষ্ঠানে পণ্য বিনিময় ২০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানান আইআরটিএর প্রেসিডেন্ট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রন হুইটনি। 

আইআরটিএর প্রেসিডেন্ট সিইও বলেন, সময়টা যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনই আমাদের জন্য তা সুযোগও নিয়ে এসেছে।

প্রতি বছর হাজার ২০০ কোটি ডলার থেকে হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য বিনিময়ের প্রতিনিধিত্ব করছে আইআরটিএ।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন