পাকিস্তানের রফতানি পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম মূল্যবান রত্নপাথর। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো পাকিস্তানের রফতানি করা মূল্যবান রত্নপাথরের প্রধান ক্রেতা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মূল্যবান রত্নপাথর রফতানি বাবদ পাকিস্তানের আয়ে ৩০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে। এ সময় দেশটি থেকে মূল্যবান রত্নপাথর রফতানি বেড়েছে দুই টন। পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (পিবিএস) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও ডন।
পিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে পাঁচ টন মূল্যবান রত্নপাথর রফতানি হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে দেশটি তিন টন মূল্যবান রত্নপাথর রফতানি করেছিল। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে পাকিস্তান থেকে মূল্যবান রত্নপাথর রফতানি বেড়েছে দুই টন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে মূল্যবান রত্নপাথর রফতানি করে পাকিস্তানি রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার ডলার আয় করেছেন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পাকিস্তানের রফতানিকারকরা মূল্যবান রত্নপাথর রফতানি বাবদ ২৬ লাখ ৫১ হাজার ডলার আয় করেছিলেন বলে জানিয়েছে পিবিএস। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মূল্যবান রত্নপাথর রফতানি করে পাকিস্তানি রফতানিকারকদের আয় বেড়েছে ৮ লাখ ৮ হাজার ডলার।
