সংক্রমণ বিস্তার রোধে এশিয়ার কৌশলই সঠিক!

বণিক বার্তা অনলাইন

নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষের মধ্যে কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা যায় না। লক্ষণ-উপসর্গ বিহীন এই আক্রান্তরাই রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। এ কারণে বাইরে বেরোলে অবশ্যই সবাইকে ফেস মাস্ক পরা উচিত। ভাইরাসের বিস্তার রোধে মাস্ক না পরার পরামর্শ এবং অভ্যাস সবচেয়ে বড় ভুল। গত সপ্তাহে সায়েন্স ম্যাগাজিনকে দেয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে এমন কথাই বলেছেন চীনা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) মহাপরিচালক জর্জ গাও। চীনের করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুরু থেকেই বলে আসছে সুস্থ ব্যক্তিদের মাস্ক পরার দরকার নেই। সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসিসহ সব দেশের করোনা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গণহারে মাস্ক পরতে নিরুৎসাহিত করছে। মাস্কের চরম সঙ্কটও এখানে একটি বড় কারণ। সবাই মাস্ক পরতে শুরু করলে সামনে থেকে যেসব স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা কাজ করছেন তাদের পরার কিছু থাকবে না। যেখানে তাদেরই মাস্ক ও অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম পরা বেশি জরুরি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি আগের অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে। এখন বলছে, করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে মাস্ক পরার ব্যাপারে এশিয়াই সম্ভবত সঠিক। সুতরাং শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র সাধারণ মানুষকেও মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল জেরোমি অ্যাডামস এক টুইটে বলেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে মাস্ক কার্যকর নয়। তবে আক্রান্ত রোগীর সেবায় নিয়োজিতরা যদি মাস্ক না পান তাহলে তারা নিজেরাতো বটেই পুরো কমিউনিটিই ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন। টুইটটি এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজারের বেশিবার রিটুইট করা হয়েছে।

একই সময় সিডিসির পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড আইনপ্রণেতাদের সামনে বক্তৃতায় বলেন, কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করেন সাধারণ মানুষের মাস্ক পরা উচিত কিনা, আমার সোজাসাপটা জবাব হবে, না।

তবে এখন আর তিনি ততোটা নিশ্চিত নন। গত সোমবার ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওকে বলেন, মাস্ক পরার ব্যাপারে সিডিসি তার আগের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করছে। গণসংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির এই অবস্থান পরিবর্তন অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ গতকাল মঙ্গলবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে সুস্থ মানুষদের মাস্ক পরার দরকার নেই। বলা হচ্ছে গণসংক্রমণ প্রতিরোধ করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বারবার হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব চর্চা করাটাই যথেষ্ট।

সূত্র: সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন