তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

বণিক বার্তা ডেস্ক

পাবনার সাঁথিয়া, দিনাজপুরের বিরামপুর বাগেরহাটে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সোমবার গভীর রাতে এসব ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

পাবনা: জেলার সাঁথিয়ায় গত সোমবার গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সরোয়ার ওরফে সরো ওরফে শাহীন আলম ওরফে আশিক (৩৬) তিনি উপজেলার পুণ্ডুরিয়া গ্রামের হারুন অর রশিদ ওরফে হারু ব্যাপারীর ছেলে।

পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সর্দার হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, সাঁথিয়া উপজেলার শামুকজানি বাজারে ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত গোপন বৈঠক করছেএমন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাত ২টার দিকে পাবনা ডিবি সাঁথিয়া থানা পুলিশ অভিযানে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ সরোয়ার ওরফে আশিককে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশী বন্দুক, একটি কার্তুজ, একটি চাকু, এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

হিলি: দিনাজপুরের বিরামপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ফেরদৌস ফাহিম (৩৩) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গত সোমবার রাত আড়াইটার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের মিরপুর এলাকায় ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় পুলিশের দুই এসআই, কনস্টেবলসহ তিন সদস্য আহত হয়েছেন। সময়  ঘটনাস্থল  থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পাইপগান, তিন রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোসা, তিনটি বড় চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। ফেরদৌস ফাহিম দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের আওয়ালকুড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। নিহতের বাবা এসে শনাক্তের পর মরদেহ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বিরামপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, ভারত থেকে ফেনসিডিলের একটি চালান নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি দল মিরপুর গ্রাম হয়ে বিরামপুরে আসছেএমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়। সময় উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে এএসআই শাহজাহান, এএসআই নিরঞ্জন কনস্টেবল দেলোয়ার আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও আট রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কিছুক্ষণ পর মাদক ব্যবসায়ীরা চলে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পাইপগান, তিন রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোসা, তিনটি বড় চাকু জব্দ করে পুলিশ।

ওসি মনিরুজ্জামান আরো জানান, আহত পুলিশ সদস্যদের দিনাজপুর পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন অস্ত্র উদ্ধার এবং পুলিশ সদস্যকে আহতের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।

বাগেরহাট: সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ফারুক মোড়ল (৩৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল পৌনে ৮টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কোদাল্লার খাল এলাকায় ঘটনা ঘটে। ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন।

র্যাবের দাবি, ওই যুবক বনদস্যু ফারুক বাহিনীর প্রধান। সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান বেশকিছু গুলি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। ফারুক মোড়ল খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগি গ্রামের আকবর মোড়লের ছেলে।

র্যাব--এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ বলেন, সুন্দরবনে মাছ শিকার করা জেলেদের কাছ থেকে একদল বনদস্যু চাঁদা দাবি করার গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। বনদস্যুরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে। সময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে দস্যু দল পিছু হটলে র্যাব সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বনদস্যু ফারুক বাহিনীর প্রধান ফারুককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গোলাগুলির ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন