বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ভাইরাসটি আরেকবার আন্তঃপ্রজাতি সংক্রমণের মাধ্যমে মানুষ থেকে গরিলা, ওরাংওটাং ও শিম্পাঞ্জির শরীরেও ছড়িয়ে যেতে পারে। এমনটি হলে বড় বিপদে পড়তে পারে গ্রেট এপস নামে পরিচিত হোমিনিডি পরিবারভুক্ত এসব প্রজাতি।
আশার কথা হলো, এখন পর্যন্ত মানুষ বাদে অন্য প্রাইমেটদের মধ্যে এ ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরির আগেই এসব প্রজাতির সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন গবেষকরা।
মানুষসহ গ্রেট এপস পরিবারের প্রাণীদের মধ্যে জিনগত উপাদানে প্রচুর মিল রয়েছে। এ কারণে তারা একই রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির আছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রজাতিগুলোর মধ্যে উপসর্গও একই হয়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষের জন্য তেমন একটা ভয়ংকর না হলেও একই রোগ অন্য এপদের জন্য প্রাণঘাতীও হতে পারে। এজন্য আপাত পরিস্থিতিতে গ্রেট এপদের মানুষ থেকে দূরে রাখার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যান্য অ্যাপের মধ্যে সার্স-সিওভি-২ সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকির বিষয়ে সম্প্রতি নেচার জার্নালে চিঠি লেখেন এমরো ইউনিভার্সিটির থমাস গিলেস্পি। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেন, বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেয়া কভিড-১৯ (সার্স-সিওভি-২ দ্বারা সৃষ্ট রোগ) মানুষ, আমাদের স্বাস্থ্য এবং আমাদের অর্থনীতিকে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এটা গ্রেট এপদের জন্যও ভয়ানক। কারণ এতে তাদেরও অনেক ঝুঁকি রয়েছে।
স্মিথসোনিয়ান ম্যাগ