বিঁড়ি-সিগারেট বা ই-সিগারেট পানে অভ্যস্তদের জন্য নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো গবেষণা না থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত ধূমপান ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয় এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। ভ্যাপিং বা ই-সিগারেটের বিষয়ে এ ধরনের উল্লেখযোগ্য গবেষণা না থাকলেও এর প্রভাবও সিগারেটের মতোই বলে ধারণা করা হয়।
তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে যারা ধূমপান বা ই-সিগারেট সেবন করেন তাদের ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা (ক্রনিক) তৈরি হয়। এ কারণেই নভেল করোনাভাইরাস সৃষ্ট কভিড-১৯ রোগটি এ ধরনের ধূমপায়ীদের জন্য মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে। কারণ এ ভাইরাস মানুষের শ্বাসতন্ত্রেই সংক্রমণ ঘটায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ধূমপান যেহেতু ফুসফুসসহ পুরো শ্বাসতন্ত্রকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে কভিড-১৯ ধূমপায়ীদের শ্বাসতন্ত্রে গুরুতর সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
লং আইল্যান্ডে নিউইয়র্ক উইনথ্রপ হসপিটালের পেডিয়াট্রিক পালমনোলজি বিভাগের প্রধান মেলোদি পিরজাদা বলেন, সবকিছু মিলিয়েই আমরা মনে করছি, যারা ধূমপান করেন অথবা ভ্যাপার নেন তাদের জন্য করোনাভাইরাস জটিলতা বাড়াতে পারে।
সানফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্টার ফর টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের পরিচালক সান্তোস গ্লানত্জ বলেন, আমার মনে হয়, এখনই ধূমপান ও ভ্যাপিং বন্ধ করার মতো সচেতনতা দরকার। আমাদের হাতে শক্ত দলিল নেই কিন্তু সাধারণভাবে আমরা সবাই ধূমপানের ক্ষতির ব্যাপারে জানি। আর সম্প্রতি চীনের একটি গবেষণায় কভিড-১৯ ও ধূমপানের মধ্যকার একটি সম্পর্ক জানা গেছে। সুতরাং ঝুঁকি কমাতে এই গবেষণাটি সবার বিবেচনা করা উচিত।
সায়েন্টিফিক আমেরিকান