পঞ্চমবারের মতো করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এল ‘বেবি ডল’
খ্যাত গায়িকা কণিকা কাপুরের।
তিনি লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর তার শরীরে করোনাভাইরাসের সন্ধান মেলে। বর্তমানে তিনি সঞ্জয় গান্ধী পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে ভর্তি রয়েছেন।
২০ মার্চ লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর করোনাভাইরাস ধরা পড়েছিল বলিউড সংগীতশিল্পী কণিকা কাপুরের শরীরে।
প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পর পর কণিকার নমুনা নেয়া হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য এবং টানা পঞ্চমবারের মতো তার রিপোর্টে কভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। প্রথমে তাকে লক্ষৌর
কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর তাকে পাঠানো হয় সঞ্জয় গান্ধী পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন এ গায়িকা।
সঞ্জয় গান্ধী পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের পরিচালক প্রফেসর আর কে ধিমান বলেছেন যে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কণিকার অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল। কণিকা ঠিকমতো খাবার গ্রহণ করছেন। কণিকার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ার যে সংবাদ ছড়িয়েছে তা সব গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
লন্ডন থেকে ফিরে কোয়ারেন্টিনে যাননি কণিকা। ৪১ বছরের এই গায়িকা দেশে ফেরার পর কানপুর ও লক্ষৌয়ে
যান। লক্ষৌর
একটি পাঁচতারা হোটেলে একটি পার্টির আয়োজন করেন তিনি। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াসহ অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব। এর পরই তার শরীরে কভিড-১৯-এর সন্ধান মেলে। লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর কোয়ারেন্টিনে না যাওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন তাকে সোস্যাল মিডিয়ায় কটূক্তি করেছিলেন। এমনকি করোনা আক্রান্ত হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ২৬৯, ২৭০ ও ১৮৮ ধারায় মামলা করে উত্তর প্রদেশের সরোজিনী নগর থানার পুলিশ।
যখন কণিকার সর্বশেষ করোনাভাইরাস পরীক্ষাটি পজিটিভ আসে তখন তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট লিখেছিলেন। তিনি লিখেন, ‘সবাই নিরাপদে থাকবেন। আমি ভালো আছি। আমি আমার পরিবারকে অনেক মিস করছি।’
কণিকার শারীরিক অবস্থা তার পরিবারের জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিন সন্তানের জননী কণিকা তার প্রথম কভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থেকেই পরিবার থেকে আলাদা থাকছিলেন। গায়িকার পরিবার এবং বন্ধুরা তার দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন।
সূত্র: পিংকভিলা