বাঙালি নারীর সবচেয়ে নান্দনিক পোশাক হলো শাড়ি।
আর
যদি নান্দনিক অলংকারের কথা বলা হয়, তাহলে সেটি হবে নাকফুল।
নাকফুল নারীদের পছন্দের অলংকারের মধ্যে অন্যতম।
নাকের এ অলংকার নারীর সৌন্দর্য অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে।
‘নাকফুল’
নারীকে করে তোলে আকর্ষণীয় ও আবেদনময়ী।
নারীদের ফ্যাশনে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন এলেও নাকফুল নামক ছোট্ট অলংকারটির আবেদন মোটেও কমেনি।
‘নাকফুল’ আকারে ছোট হলেও বাঙালি নারীর জীবনে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। একটা সময় ‘নাকফুল’কে সনাতন ও ইসলাম ধর্মাবলম্বী নারীদের বিয়ের চিহ্ন হিসেবে দেখা হলেও এটা এখন আর বিবাহিত নারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। একটা সময় বাঙালি নারীদের মাঝে নথ বা নোলক তুমুল জনপ্রিয় ছিল। নাকফুল ও নোলকের মাঝে ব্যবহারে কিছুটা ভিন্নতা আছে। এ নোলক নিয়ে কবি আল মাহমুদের একটি বিখ্যাত নোলক কবিতাও আছে। সেই সোনার নোলকের প্রচলন কিছুটা কমে গেলেও নাকফুলের ব্যবহার কিন্তু কমেনি। অনেকে আবার তার প্রিয় মানুষকে ‘নাকফুল’ উপহার দিয়ে ভালোবাসার কথা জানান দেয়।
এ বিষয়ে আলাপকালে গ্রাফিকস ডিজাইনার শান্তা ইসলাম বলেন, আমি খুব ছোট বয়সেই নাক ফুটা করেছি।
প্রায় সব ধরনের নাকফুল আমার সংগ্রহে আছে।
আমি একেক সময় একেকটা পরি।
সেই শৈশবে নাকফুলের প্রেমে পড়েছি।
তারপর থেকেই অলংকারটি সবসময় আমার পছন্দের তালিকায় থাকে।
আজকাল সব বয়সের মেয়েদের পছন্দের অলংকারের মধ্যে নাকফুল সবার আগেই স্থান পেয়ে গেছে।
নাকফুল মেয়েদের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি করে।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণী থেকে শুরু করে কর্মজীবী ও সদ্য বিবাহিতা নারীদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নাকফুল।
তাই বলাই চলে, মেয়েদের ফ্যাশনে নাকফুল খুবই পছন্দনীয়।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায়, নবম ও দশম শতাব্দী থেকে জনপ্রিয় হতে শুরু করে নাকফুল।
ধারণা করা হয়, নারীরা প্রথম যে অলংকার ব্যবহার করেছিল, সেটি ছিল নাকফুল।
কিন্তু ইতিহাসে নাকফুল নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে।
নাকফুল নিয়ে রয়েছে নানা কল্পকাহিনীও।