ধ্যানে বসার মতো একাগ্রতার নানা শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা রয়েছে। ভীতিকর মুহূর্তে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের চর্চার জাদুকরী ভূমিকা আছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৩০ মিনিটের একাগ্রতা নেতিবাচক আবেগ ও শারীরিক ব্যথাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি যারা আগে কখনো ধ্যানের চর্চা করেননি, তাদের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর। খবর মেডিকেল নিউজ টুডে।
নিউরোসায়েন্টিফিক গবেষণায় দেখা গেছে, ধ্যানে বসে একাগ্র হতে পারলে শারীরিক ব্যথা অনুভব কমে আসে। দুরারোগ্য ব্যথার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি কাজে লাগানো যেতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তবে প্রশ্ন হলো, যারা কখনো ধ্যানের চর্চা করেননি, তারা কি একই ধরনের উপকার পেতে পারেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের নিউ হ্যাভেনের ইয়েল ইউনিভার্সিটির সাইকিয়াট্রি ও সাইকোলজির সহযোগী অধ্যাপক হিডি কোবের নেতৃত্বে একদল গবেষক গবেষণা চালান। এতে দেখা গেছে, ব্যথা কমাতে ও নেতিবাচক আবেগ নিয়ন্ত্রণে ধ্যান খুবই কার্যকর। গবেষণাপত্রটি প্রকাশ হয়েছে সোস্যাল, কগনিটিভ অ্যান্ড অ্যাফেক্টিভ নিউরোসায়েন্স জার্নালে।
এ গবেষণায় ধ্যানের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী এমন ১৭ জন ব্যক্তি অংশ নেন। তাদের বেদনাদায়ক পরিবেশে প্রথমবারের মতো ৩০ মিনিট একাগ্রতার চর্চা করতে বলা হয়। একই সঙ্গে স্ক্যান করে তাদের মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হয়। এতে দেখা গেছে, একাগ্রতার কারণে অংশগ্রহণকারীদের নেতিবাচক আবেগ ও শারীরিক ব্যথা অনুভব উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে এসেছে।
গবেষকরা জানান, একাগ্রতার মাধ্যমে মানুষ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা আসক্তি থেকে মুক্তি বা চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।
হিডি কোবের বলেন, আগের অভিজ্ঞতা ছাড়াই ব্যথা অনুভব কমাতে বা নেতিবাচক আবেগ নিয়ন্ত্রণে একাগ্রতার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। দুরারোগ্য ব্যথা বা এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণেও এ চর্চা কার্যকর, যা কোনো ব্যক্তির চিকিৎসায় কাজে লাগানো যেতে পারে।