স্বেচ্ছা কোয়ারান্টাইনে চীনফেরত ৭০০ মার্কিন নাগরিক

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীন থেকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ফেরা দেশটির ৭০০ নাগরিক স্বেচ্ছায় কোয়ারান্টাইনের আওতায় বিচ্ছিন্ন থাকছেন। তবে স্বেচ্ছায় কোয়ারান্টাইনে থাকা নিউইয়র্কের এসব বাসিন্দা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন বলে জানিয়েছে অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। খবর সিএনবিসি ইউএস টুডে।

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বেচ্ছায় কোয়ারান্টাইনে থাকা এসব মার্কিন নাগরিক সম্প্রতি চীন সফর করেছিলেন। যে কারণে এসব নাগরিকের অধিকাংশ করোনাভাইরাস আক্রান্তের মাঝামাঝি ঝুঁকি পর্যায়ে রয়েছে। তবে এসব নাগরিকের কারো শরীরে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির উপসর্গ দেখা যায়নি। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এসব বাসিন্দাকে ১৪ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখবে।

এদিকে নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দাদের এমন উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়েছে অঙ্গরাজ্যটির অন্যান্য এলাকায়ও। এর মধ্যে নাসাউ কাউন্টির ৮৩ বাসিন্দা নিজ উদ্যোগে কোয়ারান্টাইনে থাকছেন। চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে এসব বাসিন্দাকে সম্প্রতি দেশে ফেরত আনা হয়েছে। নাসাউ কাউন্টির হেলথ কমিশনার . লরেন্স আইজেনস্টেইন বলেন, চীনফেরত এসব বাসিন্দার মধ্যে ভাইরাসটি বহনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা তাদের ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখব। এছাড়া পরিবার থেকে ১৪ দিন তাদের বিচ্ছিন্ন থাকতে বলা হয়েছে। তবে এসব বাসিন্দা ঠিক কোথায়, কীভাবে কোয়ারান্টাইনে আছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য সরবরাহ করেননি তিনি। একই অবস্থা অঙ্গরাজ্যটির ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টিতে। সম্প্রতি চীন ভ্রমণের পর দেশে এসে স্বেচ্ছায় কোয়ারান্টাইনে থাকা ২৬ নাগরিককে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়া রকল্যান্ড কাউন্টিতেও দুজন ব্যক্তির স্বেচ্ছায় কোয়ারান্টাইনে থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। মাসের শুরুর দিক থেকে মনরৌ কাউন্টিতেও ছয়জন বাসিন্দা স্বেচ্ছায় কোয়ারান্টাইনে থাকছেন।

এর আগে চীনে ভাইরাসটি মহামারী আকার ধারণ করার পর দেশটি থেকে যুুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আসা যাত্রীদের ব্যাপারে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সরকারকে তথ্য দেয় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। ইউএস কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশনের কাছ থেকে স্ক্রিনিং তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জিল মন্টাগ বলেন, স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন থাকায় ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোধ করবে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কোয়ারান্টাইনে থাকা এসব ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটির উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন