বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি মেনে নেয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি আশা করি মূল্যবৃদ্ধি মেনে নেবেন আপনাদের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য। মুজিব বর্ষে ঘরে ঘরে শতভাগ লোকের কাছে বিদ্যুৎ আরো সহজলভ্য করার জন্য একটু মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।

গতকাল রাজধানীর হাতিরপুলের সোনারগাঁ রোডের ফিকামলি সেন্টারে শহীদ সেলিম-দেলোয়ার দিবসের আলোচনা সভায় তিনি কথা বলেন। ১৯৮৪ সালের এই দিনে ছাত্রমিছিলে তত্কালীন স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেয়া ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় শহীদ হন ছাত্রনেতা সূর্যসেন হলের ইব্রাহিম সেলিম জহুরুল হক হলের কাজী দেলোয়ার হোসেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বিদ্যুৎ পানির সেবা পেতে নগরবাসীর কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শহরে পানি আর বিদ্যুতের কোনো হাহাকার নেই। হাহাকার যেন আর কোনো দিনও না হয়।

তিনি বলেন, মুজিব বর্ষে (এখন ৯৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে) শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেছেন, একশ ভাগ লোকের কাছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আমরা পৌঁছে দেব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্যুতের ক্রাইসিস অ্যাডজাস্টমেন্টের জন্যই উৎপাদন খরচ মিটিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আরো সহজলভ্য করতে কিছু (- টাকা) মূল্যবৃদ্ধি করতে হচ্ছে। এটা শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য সাময়িক একটু কষ্ট হবে। কিন্তু এর পরও সরকারকে সাড়ে হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ভর্তুকি কমানো বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ মেটানোর জন্য সাময়িকভাবে দুর্ভোগটা আমি আশা করি আপনারা মেনে নেবেন।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আপনাদের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। অতীতে সময়ে সময়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়েছে। দিনের পর দিন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুত্হীন অন্ধকারে আপনারা থেকেছেন। পানি না থাকায় মানুষকে নিদারুণ কষ্ট করতে হয়েছে। আমাদের আমলে যে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে তা অল্পএটা মেনে নেবেন, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমাদের আহ্বান।

দিল্লির বিষয়টি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেনভারতের দিল্লি শহরে একটা অভ্যন্তরীণ সংকট চলছে। একথা সত্য, পাশের ঘরে আগুন লাগলে সেই আগুনের আঁচ প্রতিবেশীর ঘরেও আসে।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। ভারতের সঙ্গে আমাদের চমত্কার সম্পর্ক। আমরা ভারত সরকারকে বলব, দিল্লিতে যে সংকট চলছে, রক্তপাত আর না বাড়িয়ে তাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরা দ্রুত মিটিয়ে নেবেন। কিন্তু এজন্য৭১ সালে রক্তের অক্ষরে রচিত বন্ধু বিসর্জন দিতে পারি না। বাংলাদেশ মুজিব বর্ষের উৎসবে না রাখলে এটা হবে অকৃতজ্ঞতা। দুঃসময়ের বন্ধুদের বাদ দিয়ে আমরা মুজিব বর্ষ পালন করতে পারি না। 

শহীদ ছাত্রনেতাদের সহকর্মী ডা. মোহাম্মদ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মমতাজ উদ্দিন মেহেদী মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন