সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাত্রার সময় কক্সবাজারে পৃথক অভিযানে ২৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত
বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ ও মহেশখালী থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৫ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।
এ
সময় মহেশখালীতে এক দালালকেও আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের মধ্যে এক শিশু ও ছয় নারী রয়েছেন।
তারা সবাই উখিয়ার কুতুপালং ও জামতলি রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।
দালাল চক্রের সদস্যরা তাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিবির থেকে বের করে এনে বাহারছড়ার বিভিন্ন এলাকায় জড়ো করে।
এ
দালালরা রাতেই তাদের সাগরে অপেক্ষমাণ জাহাজে তুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে এসব রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে।
তবে এ ঘটনায় দালাল চক্রের কোনো সদস্যকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে রাত ১০টার দিকে মহেশখালী চ্যানেল ও পৌর এলাকার গোরকঘাটা বাজার থেকে মালয়েশিয়াগামী ১৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রাতে বেশ কয়েকটি নৌকা দিয়ে তাদের কক্সবাজার থেকে মহেশখালী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামিরুল ইসলামের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মহেশখালী চ্যানেলে অভিযান চালিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে।
এছাড়া পৌর এলাকার গোরকঘাটা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় আরো ছয়জনকে।
উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা জানান, মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত আত্মীয়স্বজন তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এজন্য দালালদের সঙ্গে জনপ্রতি আড়াই লাখ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছে।
আগাম হিসেবে জনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে দালালরা।
মালয়েশিয়াতেই এ টাকার লেনদেন হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পৃথক অভিযানে ২৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাস চন্দ্র ধর জানান, মহেশখালী চ্যানেল ও পৌর এলাকার গোরকঘাটা বাজার থেকে উদ্ধার রোহিঙ্গাদের মধ্যে নয়জন নারী ও সাতজন পুরুষ।
তারা সবাই উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের বাসিন্দা।
এ
ঘটনায় পুলিশ এক দালালকেও আটক করেছে।