প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে আরো বেশিসংখ্যক কোম্পানি ও বাসাবাড়িতে সৌরশক্তি ব্যবহার করায় ইন্দোনেশিয়ায় ছাদের জন্য সৌর প্যানেলের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশটির একটি সৌর প্যানেল ইজারা ও সেবা কোম্পানির নির্বাহী এ তথ্য জানিয়েছেন।
খবর জার্কাতা পোস্ট।
ছাদের সৌর প্যানেল ইজারা কোম্পানি পিটি জুরায়া দায়া ইন্দোনেশিয়ার (জুরায়া) ব্যবস্থাপনা পরিচালক একা হিমাওয়ান জানান, সৌরশক্তি ব্যবহারে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যয় সাশ্রয় করা সম্ভব।
যে
কারণে ব্যাপকসংখ্যক কোম্পানির মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো জানান, সৌর প্যানেলের চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে দেখা গেছে।
এ
মুহূর্তে আমরা চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছি।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি থেকে ছাদের জন্য সৌর প্যানেল ইজারার পাশাপাশি স্থাপন করার সেবা দেয়।
এরই মধ্যে খুচরা ও ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পসংশ্লিষ্ট ২০টি কোম্পানিকে সৌর প্যানেল সরবরাহ ও সেবা দিয়েছে জুরায়া।
তবে চাহিদা বাড়লেও সৌর প্যানেলের নিরাপত্তা নিয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলোর অনাস্থা জুরায়ার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন হিমাওয়ান।
সৌর প্যানেল থেকে প্রবাহিত বিদ্যুৎ বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলোয় সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে কোম্পানিগুলোর ধারণা।
কিন্তু এটি সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে সৌর প্যানেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩৫১, যা গত বছরের ডিসেম্বর নাগাদ বেড়ে ১ হাজার ৫৮০ হয়েছে।
একই সঙ্গে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ছাদের সৌর প্যানেল থেকে মোট উত্পন্ন বিদ্যুতের পরিমাণ বেড়ে ৪ দশমিক ৯২ মেগাওয়াটের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয়ের নবায়নযোগ্য জ্বালানির কারিগরি উপ-অধিদপ্তরের প্রধান মার্থা শিবারানি জানিয়েছেন, ব্যবহার্য-জাতীয় জ্বালানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির হার বাড়াতে শিল্প খাত সহায়তা করবে বলে আশা করছে সরকার।
তিনি বলেন, সিংহভাগ সৌর প্যানেলই আবাসিক বাড়িগুলোয় স্থাপন করা হয়েছে।
যদি শিল্প ও ব্যবসাগুলো সৌর প্যানেল ব্যবহার শুরু করে, তবে নিশ্চিতভাবেই দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির সামগ্রিক ব্যবহার বাড়বে।
জেনারেল ন্যাশনাল এনার্জি প্ল্যানিং রূপরেখা অনুসারে ২০২৫ সাল নাগাদ জাতীয় জ্বালানিতে ২৩ শতাংশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।
সৌরশক্তির ব্যবহার সরকারের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত
বছর দেশটিতে নবায়নযোগ্য
জ্বালানির ব্যবহার ছিল ১২ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা নির্ধারিত ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।