প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বছর শুরু করেছে বৈশ্বিক ইস্পাত উৎপাদন খাত।
গত
জানুয়ারিতে বিশ্বব্যপী শিল্প ধাতুটির সম্মিলিত উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশের বেশি বেড়ে ১৫ কোটি টন ছাড়িয়ে গেছে।
ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউএসএ) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মূলত চাহিদা বেশি থাকার কারণে উৎপাদনকারী দেশগুলো শিল্প ধাতুটির উৎপাদন বাড়িয়েছে।
এ
সময় চীন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে ইস্পাত উৎপাদন বাড়লেও কমেছে ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশে।
খবর মেটাল বুলেটিন ও রয়টার্স।
ডব্লিউএসএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংগঠনভুক্ত ৬৪ দেশে সব মিলিয়ে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
এ
সময় বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ চীনে শিল্প ধাতুটির উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টনে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
তবে চীনে বাড়লেও গত মাসে ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় ইস্পাত উৎপাদন কমেছে।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ।
ডব্লিউএসএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে মোট ৯৩ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ কম।
এ সময় বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ জাপানে পণ্যটির সম্মিলিত উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৮২ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।
গত
মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় সব মিলিয়ে ৫৮ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ কম।
জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের কারখানাগুলোয় ৭৭ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএসএ, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
এ
সময় ব্রাজিলে শিল্প ধাতুটির উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ টনে।
এক
বছরের ব্যবধানে দেশটিতে ইস্পাত উৎপাদন কমেছে ১১ দশমিক ১ শতাংশ।
তুরস্কে গত জানুয়ারিতে ইস্পাত উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৩০ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে গত জানুয়ারিতে ইতালিতে ইস্পাত উৎপাদন কমেছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
এ
সময় দেশটিতে সব মিলিয়ে ১৯ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে।
এক
বছরের ব্যবধানে ফ্রান্সে শিল্প ধাতুটির উৎপাদন ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।
গত
জানুয়ারিতে দেশটির কারখানাগুলোয় সব মিলিয়ে ১৩ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে।
অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইউক্রেনে সব মিলিয়ে ১৮ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডব্লিউএসএ, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ কম।
আগামী দিনগুলোতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস ইস্পাতের উৎপাদন কমাতে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে ডব্লিউএসএর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ী বছরে বিশ্বজুড়ে ১৮৬ কোটি ৯৯ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে সব মিলিয়ে ১৮০ কোটি ৮৪ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছিল।
সেই হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে শিল্প ধাতুটির বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়েছে ৬ কোটি ১৫ লাখ টন।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে বৈশ্বিক ইস্পাত উৎপাদন খাতে মন্দা ভাব দেখা গিয়েছিল।
এর
পর
থেকে বিশ্বজুড়ে শিল্প ধাতুটির উৎপাদনে টানা প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে।
