২০২০-২১ উৎপাদন মৌসুমে গমের বৈশ্বিক উৎপাদন রেকর্ড ছুঁতে পারে।
এ
মৌসুমে বিশ্বজুড়ে মোট ৭৬ কোটি ৯০ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে।
এর
পেছনে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে খাদ্যপণ্যটির আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি।
আগামী মৌসুমে বিশ্বব্যাপী গমের আবাদি জমির পরিমাণ ২ শতাংশ বাড়তে পারে।
কৃষিপণ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশাল
গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি) সম্প্রতি এ পূর্বাভাস দিয়েছে।
খবর রয়টার্স ও ইয়াহু ফিন্যান্স।
এদিকে আইজিসির এ প্রতিবেদনে চলতি মৌসুমেও গমের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে মোট ৭৬ কোটি ৬০ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে, আগের মাসের প্রাক্কলনের তুলনায় যা ২০ লাখ টন বেশি।
গমের বৈশ্বিক উৎপাদন বৃদ্ধির নেতৃত্বে থাকতে পারে ভারত।
চলতি মৌসুমে ভারতে এ-যাবত্কালের সর্বোচ্চ গম উৎপাদন হতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আইজিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমে ভারতে মোট ১০ কোটি ৩৬ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির আগের পূর্বাভাসে এর পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ২২ লাখ টন।
২০১৮-১৯ মৌসুমে দেশটিতে মোট ৯ কোটি ৯৭ লাখ টন গম উৎপাদন হয়েছিল।
আইজিসির এ প্রতিবেদনে গমের সঙ্গে সঙ্গে ভুট্টার বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাসও বাড়ানো হয়েছে।
তবে কমানো হয়েছে সয়াবিনের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস।
উভয় ক্ষেত্রেই প্রধান প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
কয়েক বছর ধরে দেশটির কৃষকরা সয়াবিনের পরিবর্তে ভুট্টাসহ অন্যান্য শস্য আবাদের প্রতি ঝুঁকেছেন।