প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পূর্তি উৎসব করবে চিরকুট ব্যান্ড

‘আমরা চিরকুট বড় স্বপ্ন দেখি বড় পথ পাড়ি দিতে চাই’

২০২০-২০০২ = ১৮ অংকের এমন সমীকরণ মেনেই চলতি বছর পথচলার ১৮ বছর পূর্তি করতে চলেছে দেশের অন্যতম ব্যান্ড চিরকুট ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা করা দলটি দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত দারুণসব গান উপহার দিয়ে যাচ্ছে টকিজের সঙ্গে কথোপকথনে দলটির অন্যতম সদস্য শারমিন সুলতানা সুমী, ব্যান্ডটির ১৮ বছর পূর্তিকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে রাখতে তারা যে বিস্তর পরিকল্পনা সাজিয়েছেন, সেসবই তুলে ধরলেন সাক্ষাত্কার নিয়েছেন রুবেল পারভেজ

দলের ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে নেপালে পারফর্ম করতে যাচ্ছেন আপনারা

আমাদের নেপাল ট্যুর শুরু হবে ২৭ মার্চ চলবে এপ্রিল পর্যন্ত সময় আমরা নেপালের বিখ্যাত দুটি আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসব একোজ ইন দ্য ভ্যালি এবং জানাকপুর মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এবং একটি বাংলাদেশ এম্বাসি কনসার্টে অংশ নেব

এর বাইরে ভক্তদের উপহার হিসেবে নতুন গান তো নিশ্চয়ই থাকছে?

অবশ্যই একটি নয় দুটি নয়, মোট ১৮টি নতুন গান উপহার দেয়ার পরিকল্পনা করেছি আমরা এর মধ্যেই আমরা একটি দেশাত্ববোধক গান ভক্ত-শ্রোতাদের উপহার হিসেবে আগেভাগে দিয়ে দিয়েছি সবাই গানটি পছন্দও করেছে এছাড়া আরো চার-পাঁচটি গান প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আরেকটি কথা, এই ১৮টি গানের মধ্যে দুটি চলচ্চিত্রের গান রয়েছে; একটি অমিতাভ রেজা চৌধুরীর রিকশা গার্ল, আরেকটা নূরুল আলম আতিকের মানুষের বাগান-এর

এবার আসা যাক, চিরকুটের পথচলা শুরুর প্রসঙ্গে মনে পড়ে শুরুর দিনগুলোর কথা?

আসলে অন্যান্য অনেক ব্যান্ড যেভাবে গড়ে ওঠে, চিরকুটও সেভাবে তৈরি হয়েছিল শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরা গাইতাম, তাতে থাকত বাঁধভাঙা উল্লাসের আবরণ এভাবেই ধীরে ধীরে ব্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠতে থাকে গান করতে করতেই আমরা সংগঠিত হয়েছিলাম, সে কারণে আমরা দলের কোনো সদস্যই নির্দিষ্ট করে বলতে পারি না ঠিক কত তারিখ থেকে চিরকুটের যাত্রা হয়েছিল

শুরুতে ভেবেছিলেন দল হিসেবে চিরকুট এভাবে টিকে যাবে?

শুরু থেকেই আমাদের প্রত্যয় ছিল অনেক কিছু একসঙ্গে করতে চাই না; যা করব মন দিয়ে করব সমীকরণটা যেহেতু সবসময় আমাদের সঙ্গী ছিল, সেহেতু টিকে যাওয়ারই কথা টিকে থাকার প্রত্যয় নিয়েই শুরু হয়েছিল আমাদের যাত্রা এর চেয়েও বড় কথা, আমরা ব্যান্ড করতে চেয়েছি এক্ষেত্রে অডিয়েন্সের ভালোবাসা আমাদের নিত্যদিনের পথচলায় সাহস জুগিয়েছে তাদের ভালোবাসায় আমাদের দায়িত্বও বেড়েছে এভাবেই আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছি আমরা

লম্বা পথচলায় দলের মধ্যে নানা ধরনের বাঁকবদল, পরিবর্তন ঘটেছে নিয়ে জানতে চাই

আমরা পরিবর্তনকে খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি কারণ আমাদের জীবনে কত বন্ধুই না আসে, চলে যায়, আমাদের পরিবারের আপনজনও কাছ থেকে দূরে চলে যায় অফিসেও নিয়মিত কর্মী বদল হয় আসলে বিষয়টি হলো, ব্যান্ডের একটি আদর্শ রীতি থাকে কেউ হয়তো মানিয়ে নিতে পারে, কেউ পারে না বিষয়টি একেবারেই সাধারণ এটা নিয়ে বাড়তি আলোচনা-সমালোচনার প্রয়োজনবোধ করি না আমাদের দলের কেউই আমরা আমাদের লক্ষ্যে অটল ছিলাম, টিকে গেছি রকমই বিষয়টি তবে একটা কথা বলতে পারব যে, আমরা চিরকুট, আমরা সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি, বড় পথ পাড়ি দিতে চাই মন্ত্রণা নিয়েই কাজ করছি

দীর্ঘ সময়ে মঞ্চে উঠে হাসিমুখে গান পরিবেশন করেছেন, বিষয়টি কি শুধুই এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল নাকি ব্যাকস্টেজেরও কিছু অজানা গল্প আছে?

নানা চড়াই-উতরাই পার করেই আমরা এগিয়ে চলছি তারপরও আমাদের সংগ্রামের, বেদনার গল্পগুলো অডিয়েন্সকে কখনো দেখাতে চাইনি, বুঝতে দেয়নি, বুঝতে দিতে চাইও না হাসিমুখে গান করে শ্রোতার হাসিমুখটা দেখার জন্য রকম কষ্ট সহ্য করতে কোনো দ্বিধা নেই আমাদের

১৮ বছর পূর্তিকে আরো যেভাবে উদযাপনের পরিকল্পনা করছেন?

১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে বড় একটি উৎসব করতে চাই এর মধ্যে আমাদের একটি সলো কনসার্টও থাকবে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন