করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত
চীন এবার
বড় দুঃসংবাদ
পেল খেলার
জগত্ থেকেও।
দেশের অন্যতম
শীর্ষ অ্যাথলিট
তিনবারের অলিম্পিক
স্বর্ণজয়ী সাঁতারু
সান ইয়াং
প্রতিযোগিতা থেকে
আট বছর নিষিদ্ধ
হয়েছেন। ২০১৮
সালের সেপ্টেম্বরে
ডোপ টেস্টের
জন্য রক্ত
ও প্রস্রাবের
নমুনা দিতে
অস্বীকৃতি জানানোয়
এ শাস্তি
পেতে হলো ২৮
বছর বয়সী
সুপারস্টারকে। সুইস
ফেডারেল কোর্টে
এ শাস্তির
বিরুদ্ধে আপিল
করতে পারবেন
সান।
সাঁতারের সর্বোচ্চ
সংস্থা ফিনা
অবশ্য কোনো
দোষ খুঁজে
না পাওয়ায়
গত বছর জানুয়ারিতে
সানকে ছেড়ে
দিয়েছিল। এরপর
বিষয়টি নিয়ে
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া
আদালতে যায় ওয়ার্ল্ড
অ্যান্টি ডোপিং
এজেন্সি (ওয়াডা)।
সুইসভিত্তিক ক্রীড়া
আদালতেই ফিনার
সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ
বদলে যায় এবং
বড় শাস্তিই
পেলেন সান।
দ্বিতীয়বারের মতো ডোপ
টেস্টে গরহাজির
থাকায় আট বছরের
নিষেধাজ্ঞা পেলেন
চীনের জনপ্রিয়
এ সাঁতারু।
২০১২ সালের
লন্ডন অলিম্পিক
দিয়ে আলোতে
আসেন সান।
সেবার ৪০০ মিটার
ও ১৫০০
মিটার ফ্রিস্টাইলে
স্বর্ণ জয় করেন
তিনি। যদিও
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারটা
মাঝে মধ্যেই
কলঙ্কিত হয়েছে
তার। নিষিদ্ধ
শক্তিবর্ধক ট্রিমেটাজিডাইন
নেয়ার অপরাধে
২০১৪ সালে
তিন মাসের
নিষেধাজ্ঞা ভোগ করেন
সান। ২০১৬
সালের রিও অলিম্পিকে
২০০ মিটার
ফ্রিস্টাইলে স্বর্ণজয়ের
কৃতিত্ব দেখান
চীনা সাঁতার
গ্রেট।
গত নভেম্বরে
শুনানিতে সান বলেন,
যারা তার বাড়িতে
ডোপ টেস্ট
নিতে এসেছিলেন,
তারা নিজেদের
পরিচয় যথাযথ
দিতে পারেননি
বলেই তিনি
ওই টেস্টে
অংশ নেননি।
এছাড়া তার রক্তের
নমুনা বহনকারী
একটি শিশি
হাতুড়ি দিয়ে
চূর্ণ করার
অভিযোগও অস্বীকার
করেন সান।
গত বছর জুলাইয়ে
ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক
চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ী
সানের সঙ্গে
হাত মেলাতে
অস্বীকৃতি জানান
রৌপ্যজয়ী ব্রিটেনের
ডানকান স্কট।
তখন পদকমঞ্চে
তাকে উদ্দেশ
করে সান বলেন,
‘তুমি
তো পরাজিত,
আমি একজন
চ্যাম্পিয়ন।’
এছাড়া রিও অলিম্পিকে
৪০০ মিটার
ফ্রিস্টাইল শেষে
তাকে ‘ড্রাগ
পাপী’
বলে হাত মেলাতে
অস্বীকৃতি জানান
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাক
হর্টন।
এক নজরে
সানের উত্থান-পতন
২০০৯: আবির্ভাবের
বছর
মাত্র ১৭
বছর বয়সে
রোমে অনুষ্ঠিত
ওয়ার্ল্ড সুইমিং
চ্যাম্পিয়নশিপে ১৫০০
মিটার ফ্রিস্টাইলে
ব্রোঞ্জ জয় করেন
সান, যা বড়
আসরে তার প্রথম
কোনো পদক।
২০১০: এশিয়ান
মুকুট জয়
গুয়াজুংতে অনুষ্ঠিত
এশিয়ান গেমসের
সাঁতারে ১৫০০
মিটার ও ২০০
মিটার ফ্রিস্টাইল
রিলেতে স্বর্ণ
জয় করে এশিয়ান
শ্রেষ্ঠত্ব পান সান।
২০১১: বিশ্বরেকর্ড
পদানত করেন
২০১১ সালে
সাংহাই ওয়ার্ল্ড
চ্যাম্পিয়নশিপে ১৫০০
মিটার ফ্রিস্টাইল
সাঁতারে গ্রান্ট
হ্যাকেটের ১০ বছরের
পুরনো রেকর্ড
ভেঙে দেন সান।
একই আসরে
৮০০ মিটারেও
শ্রেষ্ঠত্ব দেখান
তিনি।
২০১২: লন্ডন
অলিম্পিকে জোড়া
স্বর্ণ
২০০ মিটার
ফ্রিস্টাইলে রৌপ্য
জিতে সূচনা
করলেও সান লন্ডন
মাতিয়েছেন ৪০০ ও
১৫০০ মিটার
ফ্রিস্টাইলে স্বর্ণ
জয় করে।
২০১৪: গোপনে
ভোগ করেন
নিষেধাজ্ঞা
ইনচনে এশিয়ান
গেমসে তিন তিনটি
স্বর্ণ জয় করেন
সান কিন্তু
শিগগিরই জানাজানি
হয়ে যায় যে
তিনি অনেকটা
গোপনেই তিন মাসের
নিষেধাজ্ঞা ভোগ করেছেন।
নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক
ট্রিমেটাজিডাইন নেয়ার
অপরাধে তাকে
তিন মাসের
নিষেধাজ্ঞা দেয়া
হয়েছিল।
২০১৬: রিও
অলিম্পিকে তিক্ততা
রিও অলিম্পিকে
৪০০ মিটার
ফ্রিস্টাইলে সানকে
হারিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান
প্রতিদ্বন্দ্বী, এমনকি
চীনা সাঁতারুকে
‘ডাগ
প্রতারক’ও
বলেন তিনি।
এ দুইয়ের
যোগফলে কেঁদেছেন
সান। যদিও
পরে ২০০ মিটার
ফ্রিস্টাইলে স্বর্ণ
জিতে দুঃখ
ঘুচিয়েছেন তিনি।
২০১৯: রক্তের
নমুনা বহনকারী
শিশি ভাঙার
কাণ্ড
অ্যান্টি ডোপিং
এজেন্সির প্রতিনিধিরা
সানের বাড়িতে
রক্ত পরীক্ষার
জন্য গেলে
তাদের সঙ্গে
তর্কাতর্কির একপর্যায়ে
তিনি রক্তের
শিশি ভেঙে
ফেলেন। এ নিয়ে
ব্রিটেনের সানডে
টাইমসে প্রতিবেদন
প্রকাশিত হলে তার
ক্যারিয়ারই হুমকির
মুখে পড়ে।
২০২০: আট
বছরের নিষেধাজ্ঞা
ওয়াডার প্রতিনিধিদের
কাছে রক্ত
ও প্রস্রাবের
নমুনা দিতে
অস্বীকৃতি জানানোয়
সানকে আট বছরের
জন্য নিষিদ্ধ
করলেন আন্তর্জাতিক
ক্রীড়া আদালত।
বিবিসি ও
এএফপি