চসিক নির্বাচন

আ.লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ব্যুরো

বমুখর পরিবেশে গতকাল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (চসিক) আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর: নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

গতকাল আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে আমি কিছু কাজ আগে করব বলে ঠিক করেছি। তার মধ্যে প্রথম কাজ জলাবদ্ধতা নিরসন করা তো আছেই, সঙ্গে হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে সমস্যার সমাধান করা। তবে নগরবাসী জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন কষ্ট ভোগ করছে। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে যে প্রকল্পের কাজ চলমান আছে, সেগুলো আগে সঠিকভাবে শেষ করাই আমার কাজ হবে। এ সমস্যা সমাধান যদি করতে পারি, তাহলে নগরীর অনেকাংশের জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে জনগণ।

এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চসিক নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন চায় বিএনপি:

টানা বন্ধের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে ইসি চসিক নির্বাচন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল বেলা ২টায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের উদ্দেশ্য যদি হয় ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা, তাহলে অবশ্যই ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩১ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ধার্য করতে হবে। কারণ টানা বন্ধে ভোটাররা বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতে পারেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, আমাদের জন্য এক আইন আর সরকারি দলের জন্য আরেক আইন হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যদি বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে গণতন্ত্রের সর্বশেষ ধাপ ভোটারদের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে এবং এর দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এমএ আজিজ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন