টানা পতনের ধারায় রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গত ছয় কার্যদিবসেই দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ছিল নিম্নমুখী। এর মধ্যে শেষ দুই কার্যদিবসের বড় পতন শেয়ার বিনিয়োগকারীদের ফের উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমেছিল। গতকাল সূচক দুটি পয়েন্ট হারিয়েছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৫১ ও ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
শেষ দুদিনে দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে ৯ হাজার ৮০৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, গতকাল লেনদেন শেষে যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বৃহৎ মূলধনি সব খাতের পারফরম্যান্সই নিম্নমুখী ছিল। এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে টেলিযোগাযোগ খাত (৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ)। তালিকায় এরপর ছিল যথাক্রমে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক (২ দশমিক ১৯), বিদ্যুৎ
ও জ্বালানি (১ দশমিক ৮), ব্যাংক
(১ দশমিক ৫৩), প্রকৌশল
(১ দশমিক ৪৫), ওষুধ
ও রসায়ন (দশমিক ৯৮) ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (দশমিক ৮২ শতাংশ) খাত।
গতকাল দিন শেষে ৪ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় প্রায় ৬৯ পয়েন্ট কম। মঙ্গলবার দিন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৫৪৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস প্রায় ১৬ পয়েন্ট কমে দিন শেষে ১ হাজার ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন যা ছিল ১ হাজার ৬০ পয়েন্ট। ডিএসইর ব্লু চিপ সূচক ডিএস-৩০ ২৫ পয়েন্ট কমে গতকাল ১ হাজার ৪৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল ১ হাজার ৫১৭ পয়েন্ট।
গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে মোট ৫৬১ কোটি ৪১ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ২৫০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৬টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
