ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গত কয়েক দিনের অব্যাহত সহিংসতা ফল ও সবজির পাইকারি বাজারে প্রভাব ফেলেছে। সাম্প্রতিক সহিংসতায় এসব পণ্যের বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্য ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। খবর লাইভমিন্ট।
দিল্লির জাফরাবাদ থেকে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা এরই মধ্যে শহরের প্রধান এলাকাগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের ব্রহ্মীপুর, গাজিয়াবাদ, গোলকপুরি, মৌজপুর, করাওলনগরসহ বড় ব্যবসা-বাণিজ্যের এলাকাগুলোতেও সহিংসতা সমানভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির আজাদপুর মান্ডি এলাকাটি উত্তর ভারতের প্রধান ফলমূল ও সবজির বাজার। সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গিয়েছে। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কয়েক দিন ধরে চলতে থাকা সহিংসতায় রাজধানী দিল্লির অবস্থা নাজুক। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বত্রই স্থবিরতা নেমে এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আজাদপুর মান্ডির একজন ব্যবসায়ী বলেন, হকার ও বিক্রেতারা মান্ডিতে পৌঁছতেই পারছে না। এ পরিস্থিতি ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে বলেও জানান তিনি। একজন খুচরা বিক্রেতা বলছিলেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তাই দুদিন ধরে তিনি পাইকারি বাজার থেকে কিছু কিনতে পারছেন না। মজুদ রাখা পণ্যও শেষ হয়ে গিয়েছে।
আজাদপুর মান্ডির কৃষি উৎপাদন বাজার সমিতির একজন সদস্য বলেন, দুদিন ধরে মান্ডির ফল ও সবজি ক্রয়ের প্রতি আগ্রহ কমে গিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে আপেল, কমলা, পেয়ারা, তরমুজ ও অন্যান্য ফলমূলের মজুদ করা ছিল।
পণ্যের মূল্যের ওপর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি বলেন, মূল্যের ওপর সামান্য প্রভাব রয়েছে; কিন্তু নতুন পণ্যের মূল্যে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব নেই। তিনি আরো বলেন, সহিংসতার কারণে দিল্লি-গাজিয়াবাদ সড়ক বন্ধ থাকলেও বাজারে তার প্রভাব পড়বে না; কারণ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ কিংবা অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখনো সরবরাহ চালু রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক অস্থিরতায় খুচরা বিক্রেতাদের সংখ্যা কমে গিয়েছে। সে কারণেই নতুন সরবরাহকৃত পণ্যের বিপরীতে চাহিদা কমেছে।
আজাদপুর মান্ডিতে সবজি ব্যবসায় জড়িত একজন বলছিলেন, দিল্লি সহিংসতায় এ এলাকার ব্যবসা ২০-২৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। তবে যমুনা নদীর ওপারে সবজি-ফলমূলের বাজারে এ পরিস্থিতির প্রভাব আরো বেশি। নদীর ওপারে এসব পণ্যের ব্যবসা কমে গিয়েছে ৬০-৭০ শতাংশ। উল্লেখ্য, সবজি ও ফলের পাইকারি বাজারে পণ্যের মূল্য ১০ শতাংশ কমে গিয়েছে।