সৌম্যর বিয়েতে ‘মোবাইল চুরি’ নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খুলনা

জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে পা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধলেন তিনি। বিয়ে উপলক্ষে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় খুলনা ক্লাবে। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বিঘ্ন ঘটেছে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের। বিয়ের অনুষ্ঠানে সাতটি মোবাইল চুরি নিয়ে সৃষ্ঠি হয়েছে অপ্রীতিকর অবস্থা।

খোয়া যাওয়া মোবাইলসহ ধরাও পড়েছেন দুজন। তাদের তাৎক্ষণিকভাবে মারধরও করেছেন উত্তেজিত কয়েকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের কাছ থেকে সাতটি মোবাইলই উদ্ধার করা হয়েছে।

খুলনা থানার এস আই টিপু সুলতান বণিক বার্তাকে জানান, রাতে গণধোলাইয়ের শিকার দুজন থানা হাজতে রয়েছে। তাদের নামে মামলা হচ্ছে। বাদী হচ্ছেন সৌম্য পরিবারের সদস্য সুখময় সরকার।আটক দুজন হচ্ছেন ঢাকার শ্যামপুরের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাসেল (২৭) ও ভাষানটেকের আব্দুল মান্নানের ছেলে সেলিম (৩০)। 

তিনি আরও জানান, রাসেলের নামে শ্যামপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দুজনেই চোর চক্রের সদস্য। সৌম্যর বিয়ে অনুষ্ঠানে তারা চুরি করার জন্য ঢাকা থেকে খুলনা আসে। 

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৫শ বরযাত্রী নিয়ে সৌম্য সরকার খুলনা ক্লাবে প্রবেশ করেন। এ সময় ৩টি মোবাইল চুরি হয়। রাত ১০টার দিকে মালা বদলের আগে আরও ৪টি মোবাইল চুরি হয়। অভিজাত খুলনা ক্লাবে ভিড়ের মধ্যে সৌম্যর বাবা, বন্ধু অলিসহ বর যাত্রীদের সাতটি মোবাইল চুরি হয়। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে মালাবদল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুই চোরকে ধরে গণধোলাই দেয়া হয়। 

সৌম্য সরকারের মামা স্বদেশ কুমার সরকার বলেন, ভিড়ের মধ্যে গেট থেকে ঢোকার সময় দ্বীনবন্ধু মিত্রের মোবাইল চুরি হয়। এরপর সৌম্যর বাবা, বন্ধু অলিসহ বর যাত্রীদের ৭টি মোবাইল চুরি হয়। 

এ নিয়ে খুলনা ক্লাবের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে ‘হাতাহাতির’ ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করছেন উভয়পক্ষ। সৌম্যর বাবা কিশোরী মোহন সরকার বলেন, এ খুলনা ক্লাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল না। নিরাপত্তা টিম সক্রিয় থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। নিরাপত্তা টিমের দুর্বলতার কারণে বরযাত্রীদের কয়েকজনকে হেনস্থা হতে হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মোবাইল চুরি হওয়ার পর হারানো মোবাইল নম্বরে কল দেন সৌম্যের স্বজনরা। তখন একজনের কাছে মোবাইল বেজে উঠে। তাকে আটক করে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গন্ডগোলোর সূত্রপাত হয়। 

এ সময় সৌম্যর পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে খুলনা ক্লাবে অপ্রীতিকর ঘটনা হয়েছে। পুলিশ আটক ২ জনের কাছ থেকে চোরাই ৭টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। দু'চোর থানায় আটক রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন