রাঙ্গামাটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে সন্ত্রাসী নিহত

বণিক বার্তা ডেস্ক

রাঙ্গামাটির বন্দুক ভাঙ্গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফের (মূল) সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে অর্পণ চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা নামে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে গতকাল ভোরে বন্দুক ভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়

আইএসপিআর জানায়, গতকাল ভোরে রাঙ্গামাটি জোনের আওতাধীন শুভলং ক্যাম্পের একটি নিয়মিত টহল নৌযানে করে বন্দুক ভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় টহল দেয়ার সময় পাহাড়ের ওপর থেকে ওত পেতে থাকা একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আকস্মিকভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে নিরাপত্তা

বাহিনীর সদস্যরা অতি দ্রুত অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করতে থাকে প্রায় ১৫-২০ মিনিট গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সম্পূর্ণ এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে সময় অর্পণ চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা নামে একজন সন্ত্রাসীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল, একটি দেশীয় অস্ত্র, বেশকিছু পিস্তলের গুলি, এলজির কার্তুজ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, নিহত অর্পণ চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা এবং তার সহযোগীরা তিন থেকে চার মাস ধরে বন্দুক ভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় নিয়মিত স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করত বলে তথ্য পাওয়া যায় অর্পণ চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা ইউপিডিএফের (মূল) সশস্ত্র শাখার একজন কুখ্যাত সদস্য তিনি নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম প্রধান আসামি

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহসভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয় পরদিন তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) আরো পাঁচ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন