ওয়ানডের পর টেস্টে দুর্দান্ত অভিষেক ঘটল নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার কাইল জেমিসনের।
ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজে তিনি জ্বলছেন তারা হয়ে।
স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান থেকে কীভাবে স্পেশালিস্ট বোলারে রূপান্তরিত হলেন, তা নিয়ে রহস্য উন্মোচন করলেন ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এ খেলোয়াড়।
পাশাপাশি জানালেন, এর চেয়ে ভালো করার সামর্থ্য তার রয়েছে।
২৫ বছর বয়সী জেমিসন তরুণ বয়সে ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলতেন।
তখনকার নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ডেইলি হ্যাডলির সঙ্গে সাক্ষাৎই বদলে দিল তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার।
প্রাথমিক কিছু দক্ষতা চোখে পড়ায় এ কোচ তাকে ব্যাটিংয়ের বদলে বোলিংকেই গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার পরামর্শ দিলেন।
এ
নিয়ে জেমিসনের কথা, ‘স্কুল
ক্রিকেটে আমি পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যানই ছিলাম।
এরপর নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলে আসার পর কোচ ডেইলি হ্যাডলি আমাকে ব্যাট ছেড়ে বল নিয়ে দৌড়ানোর পরামর্শ দিলেন এবং ব্যাটসম্যান থেকে বোলারে রূপান্তরে ভূমিকা রাখলেন।
আমি সবসময়ই ব্যাটিং পছন্দ করতাম।
এখন বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংও করতে পারি, অলরাউন্ডারের ভূমিকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছি, যা আমি আসলেই হতে চাই।’
ওয়েলিংটন টেস্টে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের জয়ের অন্যতম রূপকার জেমিসন।
ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৯ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন, পরে ব্যাট হাতে করেছেন ৪৫ বলে ৪৪ রান, যার মধ্যে ছক্কা ছিল চারটি।
বেসিন রিজার্ভে বাউন্স ও মুভমেন্ট দিয়ে তিনি মুগ্ধ করেন।
তিনি মনে করেন, এখনো গতির জায়গাটিতে উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
জেমিসন ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বল করছেন, গতিটা আরেকটু বাড়াতে পারলে তা ব্যাটসম্যানদের বিপাকেই ফেলতে পারে।
এ
নিয়ে তার কথা, ‘হ্যাঁ,
নিশ্চিতভাবেই।
একজন বোলার ও ক্রিকেটার হিসেবে যেখানে পৌঁছাতে হবে, সেখান থেকে অনেকটা দূরে আছি।
আমি কাজ শুরু করে দিয়েছি।
আশা করি, এক বছরের মধ্যে অনেক উন্নতি করব।’ আইসিসি