এনু-রুপনের পুরান ঢাকার বাড়িতে টাকা ভর্তি ৫ সিন্দুক উদ্ধার

ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগে গ্রেফতার গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টাকা ভর্তি ৫টি সিন্ধুক এবং এফডিআর ও গয়না উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে পুরান ঢাকার লালমোহন স্ট্রিটের ওই ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।

ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরু গলির ওই বাসাটিতে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার, পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর বইসহ ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই ছোট বাসাটিতে মাত্র একটি চৌকি আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই বাসায় টাকা রাখা হতো।’ ধারণা করা হচ্ছে সিন্দুকগুলোতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা রয়েছে।

র‌্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম ফয়জুল ইসলাম জানান, ওই বাড়িতে বেশ কিছু ক্যাসিনো সরঞ্জামও পাওয়া গেছে, যেগুলোতে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সিল লাগানো ছিল বলে ফয়জুল ইসলাম জানান। ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক এনু ছিলেন গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর তার ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে বেশ কিছুদিন পলাতক ছিলেন এই দুই ভাই। পরে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।


গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র‌্যাব। এরপর গত ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়ায় প্রথমে এনু ও রুপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, সিন্দুকে পাওয়া ওই টাকার উৎস ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো। টাকা রাখতে জায়গা বেশি লাগে বলে কিছু অংশ দিয়ে সোনা কিনে রাখতেন এনামুল। 

গ্রেফতার হওয়ার পর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মোট সাতটি মামলার করা হয়, যার মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা ও অর্থ-পাচারের অভিযোগে চারটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন