ধোবাউড়ায় ভাঙা সেতু

তিন বছর ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৬০ হাজার মানুষ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার নং দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের বাকপাড়া নদীর ওপর সেতুটি মাঝ বরাবর ভেঙে ঝুলে আছে যেকোনো সময় সেতুটি নদীতে পড়ে যেতে পারে এতে আট গ্রামের ৬০ হাজার মানুষ উপজেলা সদরের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসী সেতুটি ব্যবহার করছে

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাকপাড়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি উপজেলা সদরের সঙ্গে মাইজপাড়া ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম মাইজপাড়া ইউনিয়নের আট গ্রামের ৬০ হাজার মানুষ সেতু ব্যবহার করে; কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে এতে কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার তাগিদে বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু পার হতে হচ্ছে এছাড়া রোগীদের চিকিৎসার জন্যও এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে আবার যানবাহন না চলার কারণে হেঁটে ভাঙা সেতু পার হতে হয় বর্ষা মৌসুমে সেতুটি আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে

বাকপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, বাকপাড়া নদীটি পাহাড়ি খরস্রোতা ২৫ বছর আগে নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল নিম্নমানের কাজের কারণে সেতুটি তিন বছর আগে ভেঙে পড়ে এখন ভাঙা সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয় জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং উপজেলা সদরের সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে ছেলেমেয়েদের স্কুল, কলেজে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাদের উপজেলা বা জেলা সদরে যেতে হয়, তাদের চিকিৎসাসেবাও ব্যাহত হবে তাই সেতুটি পুনর্নির্মাণ এখন সময়ের দাবি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান তিনি

স্থানীয় ব্যবসায়ী ছফির উদ্দিন জানান, সেতুর জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে আমরা মালামাল নিয়ে যেতে পারি না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালেও তিনি সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেননি আমরা বড় অসহায় অবস্থায় আছি রোগী শিশুরা সেতু পার হতে পারেন না এতে আমাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে

ধোবাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুর ফেরদৌস বলেন, বাকপাড়া নদীর ওপর সেতুটি ভেঙে গেছে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি আশা করছি দ্রুতই এর একটি ব্যবস্থা করা হবে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন