৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের
জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে আইপিডিসি
ফিন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ স্টক
লভ্যাংশ।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি
আয় (ইপিএস) হয়েছে
১ টাকা ৮২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। এ হিসাবে গত হিসাব বছরে আইপিডিসির ইপিএস বেড়েছে
২৩ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট
সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৭৮ পয়সা,
আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১০ টাকা ৬২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক
প্রতিবেদন, ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য আগামী
৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান
করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ মার্চ। কোম্পানিটি এজিএমের
স্থান পরে জানাবে।
সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী, আইপিডিসি
ফিন্যান্সের সার্ভিল্যান্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ ওয়ান’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ২০১৮ সালের
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক
অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ
লিমিটেড (সিআরএবি)। ২০১৮ হিসাব
বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল আইপিডিসি।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত
আইপিডিসির অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৫৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
রিজার্ভে রয়েছে ১২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা
ও পরিচালকের কাছে। এছাড়া সরকারের কাছে ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক
বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক ৬১,
বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৮৫ ও সাধারণ
বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল
আইপিডিসি শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৫ টাকা ৮০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ২৫ টাকা ৭০ পয়সা।
গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২১ টাকা ১০ পয়সা ও ৪১
টাকা ৭০ পয়সা।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের
ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত
(পিই রেশিও)
১৩ দশমিক ৪৬, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে
যা ১৪ দশমিক ১২।